রাজিবুল হকঃ দিবো না কো করতে তোমায়,রুখব এবার দূর্নীতিকে।কেমন করে করছো চুরি সোনার বাংলার এই বুকে ।কিসের লোভে কেমন করে করছো চুরি চেয়ারে বসে।কিসের ক্ষোভে ছুটছো তুমি আপন মায়ের সর্বনাশে।কেমন করে জ্ঞানের আলো কলম দিয়ে ধ্বংস আনে।
তাই বলেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘‘আপনাদের স্মরণ আছে, গত বছর সরকার গঠনের পর জাতির উদ্দেশে ভাষণে আমি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের শোধরানোর আহ্বান জানিয়েছিলাম৷ আমি সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করি৷ মানুষের কল্যাণের জন্য আমি যে কোন পদক্ষেপ করতে দ্বিধা করবো না৷
দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘ আমি আবারও সবাইকে সতর্ক করে দিতে চাই দুর্নীতিবাজ যেই হোক, যত শক্তিশালীই হোক না কেন তাদের ছাড় দেওয়া হবে না৷” প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি আহ্বান থাকবে, যে-ই অবৈধ সম্পদ অর্জনের সঙ্গে জড়িত থাকুক, তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসুন৷ সাধারণ মানুষের হক যাতে কেউ কেড়ে নিতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে৷”
পাশাপাশি জঙ্গীবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি৷ প্রধানমন্ত্রী বলার পরকি বসে আছে দুর্নীতি বাজরা ???
প্রকল্প পরিচালক খাইরুল বাকেরর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে আমাদের কাছে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তথা ডিএসসিসি একাধিক প্রকল্প পরিচালক খাইরুল বাকের তিনি কেমন দুর্নীতি বাজ অফিসার ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের তা বর্তমান আবার দুর্নীতি শুরুর মধ্যে দিয়ে বুঝা যায়। তিনি বর্তমানে এমন আচরন করেন যেন কিছুই জানেন না এবং বুঝেন না যে, ধুয়া তুলসি পাতা।
কে এ খাইরুল বাকের তার অতীত জানার আগে বর্তমানের দিকে তাকাই। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের এক সৎ, নিষ্ঠবান, কর্মঠ, স্বচ্ছ মেয়র ব্যারিষ্টার ফজলে নুর তাপসের অধীনে বসে এমন ঘুষ গ্রহণ করবেন তা ভাবতে অবাগ লাগে। পরিচালক খাইরুল বাকের কিছু দিন আগে অতি বৃষ্টি প্রকল্পের অডিট করার নামে ঠিকাদারদের নিকট শোনা যায় প্রায় ৩ কোটি টাকা জোর করে নিয়েছেন। বর্তমান মেয়র আসার পর হতে যত গুলো প্রকল্পের টেন্ডার তার অধীনে হয়েছে। প্রায় ঠিকাদারের নিকট ১% অথবা ২% টাকা অর্থাৎ ঘুষ গ্রহণ করেন। কে এই তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খাইরুল বাকের?
যখন সাদেক হোসেন খোকা মেয়র ছিলেন তখন তিনি বাজার সার্কেলের সহকারী প্রকৌশলী হিসাবে ছিলেন। তখনই তিনি মহাদুর্নীতি বাজ ও লুটেরার প্রকাশ পায়। বাজার সার্কেলের অধীনে ভবন নির্মাণ ও মার্কেট নির্মাণ এ কোন দুর্নীতি নেই যা তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খাইরুল বাকের করেন নেই। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মার্কেট গুলোর যে বেহাল দশা তার অধিকাংশ দায়ি তত্ত্বাবধায় প্রকৌশলী খাইরুল বাকের ছিলেন। একাধিক সূত্র ও ঠিকাদারের মাধ্যমে জানা যায়।
তার এই অভিনব কায়দায় ঘুষ গ্রহণ সবাইকে অবাক করে দেয়। দুর্নিতি দমন কমিশন সঠিক তদন্ত করবে এবং দূর্নিতি দমন কমিশন তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন তা মনে করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।
সূত্র: দৈনিক এই আমার দেশ