1. doorbin24bd@gmail.com : admin2020 :
  2. reduanulhoque11@gmail.com : Reduanul Hoque : Reduanul Hoque
December 2, 2023, 12:37 pm
সংবাদ শিরোনাম :
ইসি’র সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগের আস্থা রয়েছে : ওবায়দুল কাদের যাত্রী নিয়ে ঢাকার পথে ‌‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ আজ বাংলাদেশে যোগাযোগের বিপ্লব: কক্সবাজার এক্সপ্রেস যাত্র শুরু মানুষের কল্যাণে ডিএসসিএসসি’র প্রশিক্ষণার্থীদের অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির সংবিধানের বাইরে গিয়ে ভোট করার সুযোগ নেই: ইইউ প্রতিনিধিদলকে সিইসি নির্বাচনে দলগত নয় একক জনপ্রিয়তার তাস ! এবারও আ.লীগের টিকিট পেলেন না ব্যারিস্টার সুমন ঢাকায় নৌকার মাঝি যাঁরা আগুন-সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোনো সংলাপ হয় না: তথ্যমন্ত্রী আগামীকাল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন শেখ হাসিনা

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়েহাজার হাজার স্বাস্থ্যকর্মী টিকা নিচ্ছেন না

  • প্রকাশিত : শনিবার, জানুয়ারি ২, ২০২১
  • 186 বার পঠিত

যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ টিকাকরণ শুরু হলেও দেশটির হাজার হাজার স্বাস্থ্যকর্মী টিকা নিচ্ছেন না। প্রতিদিনই দেশটিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়লেও তারা টিকা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছেন।

ক্যালিফোর্নিয়া কাউন্টি ও টেক্সাসের এক হাসপাতালের অর্ধেকের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী জানিয়েছেন, তারা টিকা নিবেন না। ওহিওর ৬০ শতাংশ নার্সিং হোমের কর্মী ইনজেকশন প্রত্যাখ্যান করেছেন, লস অ্যাঞ্জেলসের ৪০ শতাংশ কর্মী টিকা না নেয়ার কথা জানিয়েছেন বলে এক জরিপে প্রকাশ করা হয়।

বিভিন্ন জরিপের মাধ্যমে তারা জানান, কোভিড-১৯ টিকা থেকে তারা ঝুঁকিপূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা করছেন। স্বাস্থ্যকর্মীদের ফোরামের প্রচারপত্রগুলোতে বলা হয়, তারা নিজেদের গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। বিশেষজ্ঞরা এজন্য ভুল তথ্যকে দায়ী করেন।

প্রাণঘাতী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা বিরল হলেও অভিযোগকারীরা আলাস্কার দুই স্বাস্থ্যকর্মীর উদাহরণ টানছেন। যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে টিকা চালুর প্রথম দিনেই তাদের টিকা দেয়া হয়। এদের মধ্যে একজনের আগে কোনো প্রকার অ্যালার্জি না থাকলেও ফাইজারের টিকা নেয়ার কয়েক মিনিট পরেই তার শরীরে অ্যানাফিল্যাক্টিক অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া শুরু হয়।

যুক্তরাষ্ট্রেই শুধু নয়, আমেরিকান ও ডাচ স্বাস্থকর্মীরাও তাদের গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার অভিযোগ করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় গড়ে কোভিড-১৯ মহামারীতে তিন হাজারের মতো লোক প্রাণ হারাচ্ছে। গুরুতর এই অবস্থায়ও টিকা দেয়ার ব্যবস্থা চলছে শামুকের গতিতে। ২০২০ সালের শেষে অপারেশন র‌্যাপ স্পিড দুই কোটি লোকের মধ্যে ১৪ শতাংশকে টিকার প্রতিশ্রুতি দিলেও নববর্ষের আগের দিন তারা টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেন।

সব রাজ্যেই কোভিড-১৯ মোকাবেলায় টিকা নিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের আগে দাঁড়ানোর সুযোগ দেয়া হচ্ছে। টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের প্রাধান্য দিতে মার্কিন সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) সুপারিশের ভিত্তিতে এ সুযোগ দেয়া হয়।কোভিড-১৯ রোগীদের বারবার সংস্পর্শে আসা নার্স, ডাক্তার ও হাসপাতাল কর্মীদের প্রতিরক্ষার জন্য তাদের এ সুযোগ দেয়া হয়।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রথমেই টিকা দেয়ার মাধ্যমে শুধু তাদেরই  সুরক্ষার ব্যবস্থা হবে না বরং তাদের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে আসবে। পাশাপাশি হাসপাতালের কর্মী স্বল্পতাকে দূর করবে।কিন্তু স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা নিতে আগ্রহ নিয়ে কোনো কাজ করা হয়নি।

ওহিওর গভর্নর মাই ডিওয়াইন বৃহস্পতিবার জানান, ৬০ শতাংশের মতো নার্স টিকা নিতে অস্বীকার করেছেন।তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের জোর করবো না কিন্তু বেশি সাড়া পাওয়ার আশা করবো।’
তিনি আরো বলেন, ‘এবং আজ আমাদের বার্তা, সুযোগ হয়তো পরে বেশ কিছু সময় নাও আসতে পারে। পর্যায়ক্রমে আমরা সবার জন্য এটি সহজলভ্য করবো। কিন্তু এটি আপনার জন্য সুযোগ এবং এ বিষয়ে আপনার যথার্থভাবে চিন্তা করা উচিত।’

লস অ্যাঞ্জেলস টাইমসের এক খবরে প্রকাশ করা হয়, লস অ্যাঞ্জেলসের ২০ থেকে ৪০ শতাংশ
স্বাস্থ্যকর্মী কোভিড-১৯ প্রতিরোধে টিকা নিতে অস্বীকার করেছেন।

রিভারসাইড কাউন্টিতে টিকা নিতে অস্বীকারকারীদের সংখ্যা আরো বেশি। এখানের অর্ধেক কর্মীই টিকা নিতে অস্বীকৃতি জানান।
লস অ্যাঞ্জেলস টাইমসকে ক্যালিফোর্নিয়ার ৩১ বছর বয়সী নার্স এপ্রিল লু বলেন, ‘আমি ঝুঁকি বাছাই করছি- কোভিড হওয়ার ঝুঁকি বা টিকা থেকে অজানা কিছু হওয়ার ঝুঁকি।’
তিনি বলেন, ‘আমি কোভিডেরই ঝুঁকি নিয়েছি। আমি তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো এবং মাস্ক পরার মাধ্যমে কিছুটা প্রতিহতও করতে পারবো। যদিও এ বিষয়ে আমি শতভাগ নিশ্চিত নই।’

নার্সদের বিশেষ করে ক্যালিফোর্নিয়ায় টিকা নিতে অস্বীকৃতি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের কাছে বিস্ময়ের কিছু নয়। যুক্তরাষ্ট্র টিকা সরবরাহ শুরু করার মুহূর্তে ১৫ ডিসেম্বর কায়সার ফ্যামিলি হেলথ ফাউন্ডেশনের এক জরিপে প্রকাশ করা হয়, স্বাস্থ্যখাতে কাজ করা ২৯ শতাংশ কর্মীই টিকা নিতে চান না।

জাতীয়ভাবে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে টিকা কার্যক্রম এমনকি বাইডেন প্রশাসনের আওতায়ও সম্ভব হবে না।
বিচ্ছিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই টিকা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে।

উদাহরণস্বরূপ, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথ (এনআইএইচ) সকল কর্মীকেই টিকা নিয়ে কাজে যোগ দেয়ার নীতি বাধ্যতামূলক করেছে।
ডা. অ্যান্থোনি ফাউচি জানান, তিনি নিশ্চিত কিছু প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানি টিকা নেয়ার নীতি বাধ্যতামূলক করবে। এছাড়া আরো বেশি লোককে টিকা দেয়া এবং মহামারীর অবসানের সকল ব্যবস্থা নিতে সবাই কাজ করবে বলে নিউজ উইকের কাছে মন্তব্য করেন তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন :
এ জাতীয় আরও খবর

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
© All rights reserved © 2017 doorbin24.Com
Theme Customized By Shakil IT Park