1. doorbin24bd@gmail.com : admin2020 :
  2. reduanulhoque11@gmail.com : Reduanul Hoque : Reduanul Hoque
September 12, 2024, 9:30 am
সংবাদ শিরোনাম :

প্রবাসীর স্ত্রীকে হোটেলে ডেকে নিয়ে খুন!

  • প্রকাশিত : সোমবার, জানুয়ারি ৪, ২০২১
  • 217 বার পঠিত

ইতালি প্রবাসী স্বামী করোনায় গৃহবন্দী। তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারছেন না স্ত্রী। মাদারীপুরের সদর থানার দুধখালী গ্রামে বাবার বাড়িতে থাকেন স্ত্রী স্বর্ণালী আক্তার। পাশের বল্লাইচর গ্রামে স্বর্ণালীর শ্বশুরবাড়ি। ২০১৭ সালে ইতালি প্রবাসী রোকন মোল্লার সাথে স্বর্ণালীর বিয়ে হয়। বিয়ের এক মাস পর রোকন ইতালি চলে যান। করোনার মধ্যে ইতালি লকডাউনে চলে যাওয়ার পর স্বামীর সঙ্গে স্বর্ণালীর যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

এরই মধ্যে মাদারীপুরের থানতলী গ্রামের সজীবের সঙ্গে স্বর্ণালীর মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। ইতালি প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে অনেক টাকা থাকতে পারে-এই ভেবে সজীব স্বর্ণালীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।

সজীব স্বর্ণালীকে জানায় যে সে ফরিদপুরে আবাসিক হোটেলের ব্যবসা করে। কিন্তু তাদের মধ্যে সরাসরি দেখা হয়নি। দেখা করার জন্য ফরিদপুরের পুরাতন বাস-স্ট্যান্ড সংলগ্ন রাজস্থান রয়েল হোটেলে আসতে বলে। সেই অনুযায়ী ২৩ অক্টোবর বিকালে স্বর্নালী তার মায়ের কাছে বলে যে তিনি শ্বশুরবাড়িতে যাবেন। শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার জন্য স্বর্ণালী স্বর্ণালঙ্কার পড়েন। স্বর্ণালী শ্বশুরবাড়িতে না গিয়ে বাসে করে চলে যান ফরিদপুর পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের রাজস্থান রয়েল হোটেলে। সেখানে ২০৭ নম্বর কক্ষে সজীবের সঙ্গে ওঠেন। পরদিন ওই কক্ষের বিছানা থেকে স্বর্ণালীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা শাহাদত হোসেন বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতয়ালি থানায় সজীবকে প্রধান আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এখন মেয়ের খুনিকে গ্রেফতারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন এই হতভাগ্য বাবা। দুই মাসের বেশি সময় তদন্ত করে ফরিদপুর পুলিশ আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

ফরিদপুর কোতয়ালি থানার ওসি মোরশেদ আলম বলেন, লাশ উদ্ধারের সময় স্বর্ণালীর গলার স্বর্ণের চেইন, কানের দুল, হাতের চুড়ি ও আংটি ছিল না। তার মোবাইল ফোনটিও উধাও হয়ে যায়।

পুলিশ ধারণা করছে, স্বর্ণালীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তার স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়েছে ঘাতক। সন্দেহভাজন ঘাতক সজীবকে পুলিশ এখনও খুঁজে পায়নি। স্বর্ণালীর মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার করতে পারেনি।

এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতয়ালি থানার ওসি মোরশেদ আলম বলেন, লাশের সুরতহাল রিপোর্ট অনুযায়ী আমরা ধারণা করছি, মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পুলিশের কাছে আসেনি। সন্দেহভাজন আসামী সজীবকে আটকের চেষ্টা চালানো হয়েছিল। তবে এরই মধ্যে মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর সিআইডি’র পরিদর্শক ইমরান আলম বলেন, সপ্তাহ দুইয়েক আগে মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিতে এসেছে। মামলার নথি অনুযায়ী নিহতের খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনের সিডিআর (কল ডিটেইলস রেকর্ড) চাওয়া হয়েছে। মোবাইল ফোনের কল যাচাই বাছাই করে সজীব সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যাবে। লাশের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। তবে ওই হোটেলে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে উঠেছিলেন। নিহতের সঙ্গে আসামীর পূর্ব পরিচয় ছিল। কিন্তু কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে-সেটি এখনও নিশ্চিত নয়।

নিহতের বাবা শাহাদাত হোসেন অভিযোগ করেন, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন টার্গেট করেই সজীব তার মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন :
এ জাতীয় আরও খবর

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বু বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  
© All rights reserved © 2024 doorbin24.Com
Theme Customized By Shakil IT Park