এখনও শারীরিক পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হচ্ছে না করোনা আক্রান্ত বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। এর আগে তার প্লাজমা থেরাপি হয়েছিল। ফের আরও একবার তার প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হলো তাকে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শ্বাসপ্রশ্বাস ও রক্তচাপ স্বাভাবিক রয়েছে তার। ১২জন চিকিৎসকের একটি দল তাকে প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করছে। তার অক্সিজেন স্যাচুরেশন মাত্রা এখন স্বাভাবিক অবস্থায় আনা সম্ভব হয়েছে। বর্ষীয়াণ অভিনেতার শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা এখনও বেশ কম রয়েছে।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা এক ডাক্তার শনিবার জানিয়েছেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা এখন স্বাভাবিক। তবে, পটাশিয়ামের মাত্রা কম রয়েছে। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক হওয়া সত্ত্বেও অর্ধচেতন অবস্থায় রয়েছেন। তবে তার শরীরে এখন কোনও জ্বর নেই। তবে, বিপদ এখনও সম্পূর্ণ কাটেনি বলেই অভিমত তার ডাক্তারদের। মোদ্দা কথা হল, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এখনও হাই রিস্ক জোনে রয়েছেন।
শনিবার দুপুরেই বাবার শারীরিক বিষয়ে সৌমিত্র-কন্যা নাট্যকর্মী পৌলমী বসু একটি পোস্ট করেছিলেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘বাবার শারীরিক পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও নর্ম্যালি কাজ করছে। অক্সিজেনের অভাবও হচ্ছে না আপাতত। রক্তচাপও স্বাভাবিক রয়েছে বাবার।’
টলিউড সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সৌমিত্র একটি ডকু-ফিুচারের জন্য শুটিং করেছিলেন ভারতলক্ষ্মী স্টুডিয়োয়। সে দিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ শুটিং শুরু হয়। দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ ইউনিটের এক কর্মীকে সৌমিত্র জানিয়েছিলেন, একটু তাড়াতাড়ি করলে ভালো হয়, তাঁর শরীরটা খারাপ লাগছে। অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বরই ছিল সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের করোনা-উপসর্গ ধরা পড়ার প্রথম দিন। অনেক চিকিৎসকই জানিয়েছেন, ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যাঁরা প্রবীণ অভিনেতার সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদের সবার ১৪ দিনের সেল্ফ আইসোলেশনে থাকা ও করোনা পরীক্ষা করানো উচিত।