বসতবাড়ি বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় রতন দাস (৪০) নামে এক যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে। সোমবার (১ নভেম্বর) সকালে উপজেলার ফরদাবাদ জেলেপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
পরে আহত অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। ইতোমধ্যে ওই যুবককে গাছে বেঁধে রেখে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, ফরদাবাদ গ্রামের জেলে পাড়ার প্রবাসী কামাল মিয়ার স্ত্রী অঞ্জনা বেগম প্রতিবেশী রতন দাসের বসতবাড়ি কেনার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চাপ দিয়ে আসছিল। রতন দাস বাড়ি বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় অঞ্জনা তার ওপর ক্ষিপ্ত হন। পরে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অঞ্জনা বেগম ও তার ছেলে রাহিম মিয়া রতনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে তাদের বাড়িতে গাছের সাথে বেঁধে ব্যাপক মারধর করেন। এ সময় তার চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহত রতন দাসের মামাতো ভাই সুভাস দাস বলেন, আমার ভাইয়ের কাছ থেকে অঞ্জনা বাড়ির জমি কিনে নেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। আমার ভাই জমি বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে অঞ্জনা ও তার ছেলে রাহিম তাদের বাড়ির গাছের সাথে বেঁধে রতন দাসকে মারধর করেছে।
নির্যাতনের শিকার রতন দাস বলেন, আমার বাড়ি বিক্রি করার জন্য অঞ্জনা বেগম দীর্ঘদিন ধরে চাপ দিয়ে আসছিলেন। আমি রাজি না হওয়ায় সোমবার সকালে আমাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় অঞ্জনা ও তার ছেলে। পরে তাদের বাড়িতে নিয়ে গাছের সাথে বেঁধে আমাকে মারধর করে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত অঞ্জনা বেগম বলেন, আমি অনেকদিন আগে তার কাছ থেকে জমি কিনেছি। কিন্তু সে আমাকে জমি দলিল করে না দিয়ে সময়ক্ষেপণ করছে। সোমবার দলিল করে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারপরও সে দলিল করে দিতে না চাওয়ায় তাকে আমি বাড়ি থেকে ধরে আমার বাড়িতে বেঁধে রাখি। পরে এলাকার লোকজন এসে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।