মোশাররফ হোসেন: আর আমাকে নেতা বলে ডাকবেন না। বলবেন না, ক্যান আছন? আগামীতে রাজনৈতিক সংস্কৃতি কোথায় গিয়ে ঠেকবে। জানতে চাইতেন সভাতে কী বিষয় নিয়ে বলা দরকার। সচিবালয়ে যখন নৌ পরিবহন মন্ত্রী ও প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রী তখন বাসসের সচিবালয়ে এ দুটি মন্ত্রনালয়সহ আরও মন্ত্রণালয এর বিশেষ প্রতিবেদন করেছি নিয়মিত। নদীপথ উদ্ধার, বুড়িগঙ্গা নদীর পানি সচ্ছ্ব করা, নদীমাতৃক বাংলাদেশের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য আমাকে বিশেষ রিপোর্ট তৈরি করার তাগাদা দিতেন। সেই প্রতিবেদন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে আজও আছে। নদীপথে টাংগাইলের পুংলি থেকে ধলেশ্বরী নদী পর্যন্ত খনন করে যমুনা নদীর পানি বুড়িগঙ্গা আনার মাধ্যমে নতুন জীবন দান করার উদ্যোগ নেন। দেশ ও চট্টগ্রামকে এগিয়ে নিতে কোন আপোষ করেননি। এরকম অনেক স্মৃতি জাগানিয়া কথা পরে লিখব। অনলাইন নিউজ পোর্টাল দূরবীণ আপনার চির বিদায়ে শোকাহত।

মরণব্যাধী ক্যান্সারের কাছে হার মেনে মৃত্যুবরণ করেছেন চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং, পাহাড়তলী ও হালিশহর) আসনের সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীন। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। আজ শুক্রবার (২ জুন) বিকাল ৪টায় ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীনের ব্যক্তিগত এপিএস দেলোওয়ার হোসেন।
চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীনের প্রথম জানাযা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পার্টি অফিসে আগামীকাল শনিবার (৩ জুন) সকাল ১০ টায় অনুষ্টিত হবে। এরপর আছর নামাচের পর তার দ্বিতীয় নামাজে জানাযা চট্টগ্রামের জমিয়াতুল ফালাহ্ প্রাঙ্গণন অনুষ্টিত হবে। পরবর্তীতে চট্টগ্রামের দক্ষিণ কাট্টলী ফজলুল হাজেরা কলেজ প্রাঙ্গনে বাদে এশা তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষে তাকে মো. হোসেন চৌধুরী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানের দাফন করা হবে।
পরিবার সূত্র জানা গেছে, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তার ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে। প্রথমে তিনি সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এরপর দেশে নিয়মিত চিকিৎসা করিয়েছেন।
তিনি জাতীয় সংসদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন। চট্টগ্রাম-১০ আসনে ১৯৯৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পর পর পাঁচবার সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তিনি এমপি নির্বাচিত হন। তিনি সরকারের নৌপরিবহন ও পরে প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। গত দুই সংসদে তাঁকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি করেন প্রধানমন্ত্রী।
ডা. আফছারুল আমীন ও ডা. কামরুন্নেছা দম্পতির জ্যেষ্ঠ সন্তান ফয়সাল আমিন উচ্চশিক্ষা শেষ করে ব্যবসা করছেন। ছোট ছেলে ডা. মাহিদ বিন আমিন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী রেজিস্ট্রার। আফনারুল আমিনের স্ত্রী পেশায় চিকিৎসক অধ্যাপক কামরুন্নাহার ২০১৮ সালে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

ডাঃ আফসারুল আমিনের চির বিদায়ে অনলাইন নিউজ পোর্টাল দূরবীণ এর সাংবাদিকবৃন্দ শোকাহত ।