সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশনায় সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়িত হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এরপর থেকেই এই দেশটির সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। রবিবার সৌদির একাধিক কলামিস্ট যুবরাজের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেছেন, সৌদি আরবের সার্বভৌমত্ব শেষ সীমায় পৌঁছে গিয়েছে।
শুক্রবার খাশোগি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সৌদি আরবের ৭৬ নাগরিকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বাইরে আছেন যুবরাজ বিন সালমান।
এ নিয়ে কলামিস্ট খালেদ আল মালিক আল জাজিরাহ পত্রিকায় লেখেন, কৌশলগত আঞ্চলিক মিত্রকে ভয় দেখানোর অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের নেই ।
আব্দুল্লাহ আল-ওতাইবি লন্ডনভিত্তিক সৌদি মালিকানাধীন সংবাদমাধ্যম আশরাক আল-আওসাতে লেখেন, সৌদি আরব ওয়াশিংটনের পুরানো বন্ধু। সৌদি কোনও ‘ব্যানানা রিপাবলিক’ নয় যে, কারও হুমকিতে কেঁপে উঠবে।
সৌদি দৈনিক ওকাজে লেখা এক নিবন্ধে সাংবাদিক ফাহিম আল-হামিদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অত্যন্ত-গভীর সম্পর্কআমরা জোরদার করতে চাই। কিন্তু সেটি আমাদের সার্বভৌমত্বের বিনিময়ে নয়।