বাসভাড়া বাড়লো, সোমবার থেকে কার্যকর। দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে সারা দেশে চলমান পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকেই মহানগরসহ সারাদেশে পরিবহন চলাচল শুরু করবে।
রোববার (৭ নভেম্বর) বাসের ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ে বৈঠক শেষ বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিন সকাল সাড়ে ১১টার পর রাজধানীর মহাখালীতে বিআরটিএ ভবনে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার। এতে অংশ নেন পরিবহন মালিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এদিকে ডিজেলের দাম বাড়ায় প্রতি কিলোমিটারে দূরপাল্লার বাস ভাড়া এক টাকা ৮০ পয়সা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। আর মহানগরে ২ টাকা ১৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাস ভাড়া সর্বনিম্ন ১০ টাকা এবং মিনিবাসে ৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে সিএনজি চালিত বাস ভাড়া বৃদ্ধির আওতায় আসবে না বলে জানানো হয়েছে।
সোমবার (৮ নভেম্বর) থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। রোববার (৭ নভেম্বর) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।
সবশেষ ২০১৫ সালে নগর পরিবহনে বাসের ভাড়া প্রতি কিলেমিটারে এক টাকা ৭০ পয়সা এবং মিনিবাসের জন্য এক টাকা ৬০ পয়সা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। পরের বছর ২০১৬ সালে দূরপাল্লায় ডিজেলচালিত বাস ও মিনিবাসের ভাড়া নির্ধারণ করা হয় এক টাকা ৪২ পয়সা।
গত বুধবার (৩ নভেম্বর) ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটারে ১৫ টাকা এবং বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) এলপি গ্যাসের দাম প্রতি কেজির সিলিন্ডারে ৫৪ টাকা করে বাড়ানোর ঘোষণা দেয় সরকার।
এদিকে, বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ও পণ্য পরিবহন মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালিব জানিয়েছেন দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে সারা দেশে ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের ডাকা পণ্য পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।
সড়কের যখন এ অবস্থা তখন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভরসার নৌপথও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে জাহাজ পরিবহন মালিক সমিতি। তাদের দাবি, তেলের দামের সঙ্গে মিলিয়ে ভাড়া বৃদ্ধি করা না হলে, সম্ভব নয় লঞ্চ চলাচল অব্যাহত রাখা।
যাত্রীবাহী লঞ্চের ভাড়া ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রতি কিলোমিটারে এক টাকা ৭০ পয়সার পরিবর্তে তিন টাকা ৪০ পয়সা এবং ১০০ কিলোমিটারের পর এক টাকা ৪০ পয়সার বদলে দুই টাকা ৮০ পয়সা করার প্রস্তাব করেছেন লঞ্চ মালিকরা।