নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘জনগণের কাছে বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি নেতারা তাদের বিদেশি প্রভুদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে, বিদেশি রাষ্ট্রদূতকে ভগবান জ্ঞান করে রাজনীতি করছে।’
শুক্রবার (১ মার্চ) আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করদ এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। এতে ‘গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি নেতাদের মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্যের’ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও নির্বাচনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না, তারা জনগণের ক্ষমতায়নেও বিশ্বাস করে না। তাদের নির্ভরতা কেবলমাত্র বিদেশি শক্তির উপর। সে কারণে বিএনপি বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে লবিস্ট নিয়োগের মাধ্যমে দেশ ও জনগণের স্বার্থবিরোধী অপপ্রচার ও প্রোপাগাণ্ডা চালিয়ে আসছে।’
বিএনপির বিপরীতে আওয়ামী লীগ জনকল্যাণের রাজনীতি করে উল্লেখ করে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণই ক্ষমতার একমাত্র উৎস। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির গতিপথ নির্ণীত হয়।’
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের মুখে বিদ্যুৎ নিয়ে কথা মানায় না। বিএনপি-জামাত অশুভ জোট তাদের শাসনামলে হাওয়া ভবন খুলে দেশের জনগণের টাকা লুটপাটের মহোৎসব চালিয়েছিল; তখন বিদ্যুৎ খাতে ২১ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছিল। তাদের দুর্নীতির কারণে বিদ্যুৎ খাতে অর্থায়ন বাতিল করেছিল বিশ্বব্যাংক।‘
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সময়কালে আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪ হাজার ২০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করেছিল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অথচ পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতা এসে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩ হাজার ১০০ মেগাওয়াটে নামিয়ে এনেছিল। বিএনপির সময় দিনে তখন ১৮ ঘণ্টা লোডশেডিং হতো। বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলনরত কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।’
‘বিএনপি বিদ্যুতের পরিবর্তে খাম্বা স্থাপন করে দেশবাসীর সঙ্গে তামাশা করেছিল’, মন্তব্য করে বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারেনি উল্টো ৫ বছরে ৯ বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছিল। সেখানে শেখ হাসিনার সময়োপযোগী পদক্ষেপের কল্যাণে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা এখন ২৯ হাজার ৭০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে দেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি নিয়ে বিএনপি নেতারা মিথ্যাচার করছে। এবারের দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ গ্রাহকদের উপর এর চাপ পড়বে না; বিদ্যুৎ খাতের ভর্তুকি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে বড় গ্রাহক পর্যায়ে দাম কিছুটা বৃদ্ধি করা হবে।
ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেন, ‘বিএনপি নেতারা মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা বললেও একদিকে প্রতিনিয়ত তারা মিডিয়ার সামনে অবাধ মিথ্যাচার করে যাচ্ছে, অন্যদিকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে! বিএনপির এই দ্বিচারিতা ও নির্লজ্জ মিথ্যাচার সম্পর্কে দেশের মানুষ সচেতন। শেখ হাসিনার সরকারের সময় দেশের মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত ও সুসংহত হয়েছে। অর্ধ শতাধিক বেসরকারি টেলিভিশন, শত শত অনলাইন নিউজ পোর্টাল, নতুন নতুন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকার অনুমোদন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের মধ্য দিয়ে মত প্রকাশের মুক্ত- বাতায়ন উন্মোচন করেছে বর্তমান সরকার।’