আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের মানুষ ১/১১’র স্মৃতি এখনও ভুলে যায়নি। তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে কুক্ষিগত করে বিএনপি ২০০৬ সালের শেষ দিকে যেন-তেন নির্বাচন দেওয়ার অপচেষ্টা চালিয়েছ ।
ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার সকালে দলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রচার কৌশল’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন।
তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কর্মশালায় যুক্ত হন।
দেশের গণতন্ত্র এখনো বিকাশমান ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, অতীতে নানান ঘাত-প্রতিঘাতে শিশু গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এগিয়ে যাওয়ার পথে।
২০০৬-০৭ সালের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ক্ষমতা অব্যাহত রাখতে রাষ্ট্রপতিকে তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ভোটার তালিকায় ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার যুক্ত করে ক্ষমতায় টিকে থাকার অপপ্রয়াস চালায় বিএনপি।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে জনগণের ভোটাধিকার হরণের অপচেষ্টা এবং একগুঁয়েমির কারণে সৃষ্টি হয়েছিল এক-এগারো। বাধাগ্রস্ত হয় গণতন্ত্রের চলমান ধারা।
তিনি আশাবাদ করে সবাইকে দলমত নির্বিশেষে দেশের গনতান্ত্রিক অভিযাত্রা এগিয়ে নিতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান ড. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. আবদুস সবুর, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ও আওয়ামী লীগের গবেষণা সংস্থা সিআরআইয়ের সদস্যরা।