ভারতের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় টিকা পেতে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘অ্যাস্ট্রাজেনেকার পাশাপাশি বিকল্প উৎস থেকে করোনা ভাইরাসের টিকা পেতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।’
শনিবার (২৪ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানান তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে প্রতিশ্রুত ভ্যাকসিন পেতে সার্বক্ষণিকভাবে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। পুরো ভারতে করোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় ওখান থেকে ভ্যাকসিন পেতে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
ভারতে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে বিশ্বের সবচে বড় টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম জানিয়ে দিয়েছে, আগামী তিন মাসের মধ্যে টিকা রপ্তানির সম্ভাবনা নেই। আর এতেই দেশের টিকা কার্যক্রম শঙ্কায় পড়ে যায়। বিভিন্ন মাধ্যমে আসতে থাকে নানা তথ্য।
এ অবস্থায় ভ্যাকসিন সরবরাহ কার্যক্রম নিয়ে গণমাধ্যমে মুখ খুললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) তিনি জানান, রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটনিক-৫ দেশেই উৎপাদনের জন্য মস্কো-ঢাকা সম্মত হয়েছে। চলছে চীনা ভ্যাকসিন আনার আলাপ-আলোচনাও।
আরও পড়ুনঃ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে টিকা উৎপাদন করতে রাশিয়ার প্রস্তাবে আমরা একমত হয়েছি। কারণ আমরা সেটা তৃতীয় দেশেও বিক্রি করতে পারব।
এ ছাড়া ভারতের সেরাম থেকে বেসরকারিভাবে ভ্যাকসিন আনতে কূটনৈতিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এদিকে ভারতে নিজেদের ভ্যাকসিন সংকট থাকলেও বাংলাদেশে সরবরাহ বন্ধ থাকবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। দুই দেশের সম্পর্কের কারণেই এই সরবরাহ অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন ভারতীয় হাইকমিশনার।
চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি ভারত থেকে উপহার পাওয়া ২০ লাখ ডোজের মাধ্যমে করোনা টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে বাংলাদেশ। এর চার দিন পর ২৫ জানুয়ারি সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা বাংলাদেশের প্রথম টিকা আনে বেক্সিমকো ফার্মা। এরপর সফলভাবে চলে দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি।