বিশেষ সংবাদদাতা : যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছেন নীরবে-নিভৃতে। অতি কাছের জনকেও সেভাবে বলেননি আসলে কবে, কখন ফিরবেন। আর দেশে ফিরেও কোনো হৈ চৈ নেই। একদম নীরবে নিজের কাজগুলো করে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান।
আজকাল অনেক তারকাই নিজের ফেসবুক পেজে এটা ওটা লিখে তাদের অবস্থান জানান দেন। কিন্তু সাকিব সেই যুক্তরাষ্ট্র থাকার সময় থেকেই অনেকটা নীরব। দেশে ফেরার পর করোনা টেস্ট করানো, সেই টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ আসা- কোনো খবরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেননি।
শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় নয়, বিকেএসপিতে যে তার একান্ত অনুশীলন, সেটাও সম্ভবত গোপনভাবেই শেষ করতে চান সাকিব। নিজে তো কিছু বলছেনই না। যাদের তার প্র্যাকটিস কার্যক্রমে সরাসরি সহায়তা করার কথা, সেই দুই কোচ-নাজমুল আবেদিন ফাহিম আর মোহাম্মদ সালাউদ্দীনকেও আড়ালে থাকতে দেখা যাচ্ছে। তারা কারও ফোন ধরছেন না। আর তাই সাকিব যে কালই (শনিবার) প্র্যাকটিস করতে বিকেএসপি যাবেন, এমন খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আগে ঠিক করা সূচি অনুযায়ী, কাল ৫ সেপ্টেম্বর শনিবার থেকে তার বিকেএসপিতে অনুশীলন করার কথা। সেই প্র্যাকটিসের কথা মাথায় রেখে দেশে ফেরার ২৪ ঘন্টার ভেতরে করোনা টেস্টও করিয়েছেন। রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় এখন বিকেএসপিতে যেতে আর বাধা নেই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের।
কিন্তু এতদিন যারা সাকিবের বিকেএসপিতে প্র্যাকটিস দিয়ে মাঠে ফেরার বিষয়ে কথা বলেছেন, সেই নাজমুল আবেদিন ফাহিম আর মোহাম্মদ সালাউদ্দীন একদম মুখে কুলুপ এঁটে বসেছেন। কারো মুখে কোনো কথা নেই। কেউই ফোন ধরছেন না।
তবে একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, পূর্ব নিধারিত সূচি অনুযায়ী কালই সাভারের জিরানিতে অবস্থিত বিকেএসপিতে যাবেন সাকিব। আগামী ৪ থেকে ৫ সপ্তাহ বিকেএসপিতেই অবস্থান করবেন। শারীরিক, মানসিক প্রস্তুতির পাশাপাশি ব্যাট ও বলের অনুশীলনটাও সেখানেই শুরু করবেন।