শক্তিমত্তার বিচারে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ঢের এগিয়ে ইংল্যান্ড। তবে বিশ্বকাপের মঞ্চে যেন ইংলিশরাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রিয়পক্ষ। কারণ, বিশ্কাপে ইংল্যান্ডের কাছে কখোনোই হারেনি যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বকাপের ২০১০ সালের আসরে দুই দলের সর্বশেষ ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। আর ১৯৫০ সালে প্রথম দেখায় তো ১-০ গোলে জয়ই পেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার রাতে (২৬ নভেম্বর) আল বায়েত স্টেডিয়াম জিতলেই কাতার বিশ্বকাপের নক আউট পর্ব নিশ্চিত হতো ইংল্যান্ডের।এমন ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে চিরচেনা ফুটবলটা খেলতে পারেনি ইংল্যান্ড। ইংলিশদের চেয়ে র্যাংকিংয়ে ১১ ধাপ পিছিয়ে থাকা যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচের শুরু থেকেই লড়েছে সমানে সমান। তাই শেষটায় ফলাফল ও এসেছে সমান সমান।ইংল্যান্ড-যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচটা গোলশূন্য ড্র হয়েছে। এই ড্রয়ের কারণে গ্রুপ বি-তে চার দলের সামনে নক আউট পর্বে ওঠার সুযোগ তৈরি হয়েছে। আবার যে-কেউ বাদ পড়তে পারে। ইংল্যান্ড দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট, ইরান তিন, যুক্তরাষ্ট্র দুই এবং ওয়েলস এক পয়েন্ট করে পেয়েছে। শেষ ম্যাচে নির্ধারিত হবে কোন দুটি দল যাবে পরবর্তী পর্বে। ইরানকে ৬ গোলের বন্যায় ভাসিয়ে আসর শুরু করা ইংল্যান্ড এখানে এগিয়ে যেতে পারত দশম মিনিটে। হ্যারি কেইনের শট ব্লক হলে গোলবঞ্চিত হয় ইংল্যান্ড। পরের মিনিটে জন স্টোন্সের হেড পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। ১৩ মিনিটে মন্টের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। যুক্তরাষ্ট্রও একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে। ১৭ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের হাজি রাইটের হেড পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। ২৬ মিনিটে ওয়েস্টন ম্যাকনির ডান পায়ের শট দূর দিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ২৯ মিনিটে ইউনুস মুসার শট ইংলিশ গোলকিপার প্রতিহত করেন।এর চার মিনিট পর ক্রিস্টিয়ান পালিসিকের শট বারে লাগলে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থকরা আবারও হতাশ হতে হয়। বিরতির পর যুক্তরাষ্ট্র আর সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি। ৬২ মিনিটে পালিসিকের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া আরও একটি শট রক্ষণে এসে বাধা পেলে গোলের স্বপ্ন সেখানেই শেষ। শেষের দিকে হ্যারি কেইন-রাশফোর্ডরা আক্রমণের নাটাইটা নিজের হাতে রাখলেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি।