বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বিদেশ যেতে পারবেন কিনা তা নির্ভর করছে মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্ত ও সরকারের সদিচ্ছার ওপর। আজ বুধবার (৫ মে) তিনি দলের চেয়ারপারসনের বিদেশ যাত্রা নিয়ে এ কথা বলেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে চায় তার পরিবার। ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে পরিবার ও বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার রাতেই মির্জা ফখরুল ইসলাম ফোনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানান এবং তাকে বিদেশে নিতে পরিবারের ইচ্ছার কথা তুলে ধরেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিএনপি মহাসচিবকে জানিয়েছেন যে, বিষয়টি সরকারের নয়, আদালতের এখতিয়ার। তিনি এ ব্যাপারে আদালতে আবেদন করার পরামর্শ দেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় আবারও তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে নেওয়া হয়েছে। তবে তিনি স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। মঙ্গলবার রাতে তিনি জানান, মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা মঙ্গলবার উনার (খালেদা জিয়া) যে সকল পরীক্ষা সোমবার করানো হয়েছিলো এবং সকালে করানো হয়েছে সেগুলো রিভিউ করেছেন। ট্রিটম্যান্ট কিছু এডজাস্টমেন্ট করেছেন এবং সেই অনুযায়ী উনার চিকিৎসা চলছে। আমি কিছুক্ষণ আগেও উনার সাথে দেখা করেছি।একজন সিসিইউ‘র রোগীর সাথে তো সামনে গিয়ে কথা বলা যায় না, দূর থেকে দেখতে হয়। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে উনি সোমবার যে অবস্থায় ছিলেন এখন উনি সেই অবস্থাতে আছেন। ওনার চিকিৎসা চলছে।
সোমবার বিকালে খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। পরে রাতে হাসপাতালের সামনে খালেদা জিয়ার মেডিকেল টিমের সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছেন। সকালের দিকে খালেদা জিয়া শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন। চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সম্মিলিত সিদ্ধান্তে তাকে সিসিইউতে ভর্তি করান। হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করছেন।
এর আগে গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ তার ব্যক্তিগত চিকিতসক অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চিকিৎসা শুরু হয়। করোনা আক্রান্তের ১৪ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরে খালেদা জিয়ার করোনা টেস্ট করা হয়েছিলো কিন্তু ফলাফল পজেটিভ আসে। এরপর ২৭ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।