ইরানকে ২০১৫ সালের পরমাণু সমঝোতা চুক্তিতে ফেরাতে এবং ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হলে প্রথমে তেহরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে। ইরান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সায়েদ খাতিবজাদেহ সোমবার (১ মার্চ) এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের যে নীতি গ্রহণ করেছিলেন সেখান থেকে সরে আসতে হবে বাইডেন প্রশাসনকে। তিনি সেরকম কিছু করতে পারলে ইরান অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকে বসবে।
বাইডেন প্রশাসন বলেছে, তারা বিষয়টি নিয়ে অর্থবহ কূটনৈতিক তৎপরতা চালানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইউরোপীয় প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর পরই মার্কিন সরকার এ অবস্থান ঘোষণা করে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বলেন, ‘আমরা ইরানের প্রতিক্রিয়ায় হতাশ হলেও সমঝোতায় ফিরে আসার লক্ষ্যে অর্থবহ কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে প্রস্তুত আছি। বিষয়টি নিয়ে ওয়াশিংটন পরমাণু সমঝোতার বাকি পাঁচ দেশ চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, ব্রিটেন ও জার্মানির সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’
ইরানের ওপর থেকে এখনই নিষেধাজ্ঞা তোলার ব্যাপারে প্রস্তুত নয় বাইডেন সরকার। তারা আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধানে পৌঁছাতে চায় কিন্তু ইরান কোনোরকম আলোচনায় যেতে রাজি নয়। ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত ওয়াশিংটন পরমাণু চুক্তি অনুযায়ী ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা চালাতে না পারলেও বিদ্যুৎ উৎপাদন ও চিকিৎসার মতো শান্তিপূর্ণ ক্ষেত্রে পরমাণু শক্তি কাজে লাগাতে পারবে।
ইরান প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় হতাশ হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।