নিজস্ব প্রতিবেদক : কৃত দুঃস্থ ও অসহায় নারীদের ভিজিডিতে অন্তর্ভুক্ত করতে কোন ধরণের অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর থেকে সার্বক্ষণিক মনিটর করা হবে।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা অনুষ্ঠিত ‘ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি) কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির’ সভায় এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, করোনা মহামারির কারণে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। সমাজের নিম্ন আয় ও দিন আনে দিন খায় এমন শ্রেণীর নারী কষ্টে রয়েছে। এই সময়ে সঠিকভাবে ভিজিডি বাছাই প্রক্রিয়ায় যারা সকল শর্ত পূরণ করবে তাদের নির্বাচন করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের ভিজিডি কর্মসূচি দারিদ্রপীড়িত ও দুঃস্থ গ্রামীণ নারীদের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। এর মাধ্যমে দু:স্থ নারীরা খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, পুষ্টিহীনতা,অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতাকে সফলভাবে অতিক্রম করে চরম দারিদ্র্যতার স্তর থেকে বের হয়ে আসার সক্ষমতা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, ভিজিডি অতিদারিদ্রপীড়িত গ্রামীণ নারীদের দারিদ্রতা দূর করে স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করছে। আগামী ২০২১-২২ সালে দুই বছর মেয়াদে ১০ লাখ ৪০ হাজার উপকারভোগী অতিদরিদ্র নারীদের মাঝে ৩০ কেজি করে চাল প্রদান করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদসহ খাদ্য মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, ইআরডি, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও বিশ্ব খাদ্য সংস্থার প্রতিনিধি এসময় উপস্থিত ছিলেন।