তৃষ্ণা পাওয়ায় নিকটস্থ মন্দিরে গিয়ে পানি পান করেন এক মুসলিম যুবক। কিন্তু সেটিকেই অপরাধ হিসেবে ধরে নিয়ে তাকে মারধর করেন স্থানীয় এক হিন্দু যুবক। আজ শনিবার (১৩ মার্চ) অভিযুক্ত সেই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের গাজিয়াবাদ জেলায়। রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে ওই এলাকাটির দূরত্ব ৩৩ কিলোমিটার বা ২০ মাইলস। এ খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
সেখানে বলা হয়, ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এর পরই অভিযুক্ত যুবক শ্রীনী নন্দন যাদবকে গ্রেপ্তার করেছে গাজিয়াবাদ পুলিশ। ভিডিওতে দেখা যায়, আসিফ নামের ওই মুসলিম যুবককে পানি পানের কারণ জিজ্ঞেস করছে শ্রীনী। এর পরই সে তাকে বেরধর মারতে থাকেন।
এ বিষয়ে গাজিয়াবাদ পুলিশের জনসংযোগ কর্মকর্তা বরুণ কুমার আনাদোলু এজেন্সিকে বলেন, ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ইতোমধ্যে অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার এমন আচরণের কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশটিতে সংখ্যালঘু বিশেষত মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন ব্যাপকহারে বেড়েছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) তাদের ২০২১ সালের বিশ্ব প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারতে সংখ্যালঘুদের ওপর ক্ষমতাসীন বিজেপি সমর্থকদের হামলা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। এ বিষয়ে অভিযোগ জানালেও জড়িতদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
এর আগে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে এক ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ৫৩ জন মানুষ নিহত এবং ২০০ এর বেশি লোক আহত হয়েছিলেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই মুসলিম। এ ছাড়া মুসলামানদের বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগিয়ে দেয় বিজেপির সমর্থকরা।