মিলার ম্যাজিকে লঙ্কানদের হারালো দক্ষিণ আফ্রিকা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে শনিবার (৩০ অক্টোবর) দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেও শ্রীলঙ্কাকে জেতাতে পারেননি ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে লঙ্কানদের হার ৪ উইকেটে। লঙ্কানদের ১৪২ রানের জবাবে এক বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে নোঙর করে দক্ষিণ আফ্রিকা শিবির।
১৪৩ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ধীর গতির শুরু পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শুরুর তিন ব্যাটারই আউট হন বিশের ঘরে পৌঁছার আগে। রেজা হেন্ড্রিকস ১১, কুইন্টন ডি কক ১২ ও রসি ভন ডার ডুসেন ১৬ রান করে ফিরে যান। এদের মধ্যে দুই ওপেনারকেই ফেরান দুশমন্থ চামিরা।
দক্ষিণ আফ্রিকা যখন ধুঁকছিল তখন প্রোটিয়া শিবিরে আঘাত হানেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। দলীয় ১৫তম ওভারের শেষ বলে এইডেন মারক্রামকে সরাসরি বোল্ড আউট করেন হাসারাঙ্গা। ১৮তম ওভারে প্রথম দুই বলে হাসারাঙ্গা ফেরান টেম্ভা বাভুমা ও ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকে। ৪৬ বলে টেম্ভা বাভুমা ৪৬, মারক্রাম ১৯ ও ডোয়াইন শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেন। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটি দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। এর আগে প্রথম রাউন্ডে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন আয়ারল্যান্ডের কার্টিস ক্যাম্পার।
শেষ দিকে ১৪ বলে ডেভিড মিলারের ১৩ বলে ২৩ ও কাগিসো রাবাদার ৭ বলে ১৩ রানে ভর করে জয়ের দেখা পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শ্রীলঙ্কার হয়ে হাসারাঙ্গা নেন ৩ উইকেট। দুটি উইকেট পান দুশমন্থ চামিরা।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লড়াকু পুঁজি পায় শ্রীলঙ্কা। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে সবক’টি উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৪২ রান। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে খুড়িয়ে খুড়িয়ে শত রান পার করে শ্রীলঙ্কা। ১৬ ওভার শেষে ৫ উইকেটে তাদের রান ছিল ১০১। দলীয় ২০ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা। ব্যক্তিগত ৭ রানে এনরিচ নর্কিয়ার বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফিরে যান কুশাল পেরেরা।
চারিথ আসালাঙ্কা রান আউট হন কাগিসো রাবাদার বলে। ১৪ বলে ২১ রান করেছিলেন আসালাঙ্কা। ভানুকা রাজাপাকসা, আভিস্কা ফার্নান্দো ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা নামের প্রতি মোটেই সুবিচার করতে পারেননি। ভানুকা শূন্য, আভিস্কা ৩ ও হাসারাঙ্গা ৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।
এরপর পাথুম নিসাঙ্কার বদৌলতে লড়াকু পুঁজি গড়ে লঙ্কানরা। ৫৮ বলে ৬ চার ও ৩ ছয়ে ৭২ রান করে প্রিটোরিয়াসের বলে নর্কিয়ার হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।
বাকিদের মধ্যে দাসুন শানাকা ১১, চামিকা করুনারত্নে ৫, দুশমন্থ চামিরা ৩ ও মাহেশ থিকসানা ৭ রান করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৪ ওভারে ১৭ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন তাবরাইজ শামসি। তিনটি উইকেট পান প্রিটোরিয়াসও। নর্কিয়া নেন দুই উইকেট।