মালিকুজ্জামান কাকা, যশোর : চৌগাছা সড়কের ফসলী মাঠে জন্মেছে জাস্ট (ঔটঝঞ) পড়াশুনা গবেষনা করোনায় শুরু থেকে ফার্স্ট রাখবে ও ইতিহাসের দেশ ও যশোরের মান বিশ্বজুড়ে প্রতিষ্ঠায় থাকবে বাংলা ভাষার প্রমান হীন হানাহানী অপ রাজনীতি যত জঞ্জাল সরিয়ে এগিয়ে যাবে বিদ্যাপীঠটি উজ্বল মাথা বাড়িয়ে তারপর একদিন বিশ্বে হবে শিক্ষাখোকা বরেণ্য বিজ্ঞান আধুনিক কৃষি সবুজে গড়বে বিশ্ব অরণ্য।
একে একে ১৫ বছর অতিক্রম করে ১৬ বছরে পদার্পন করেছে জাস্ট। সংক্ষিপ্ত নাম এটি তার। গত ২৫ জানুয়ারি ছিল যশোর বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) দিবস। মঙ্গলবার কেক কাটা, জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলনসহ নানা আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে ১৫তম যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস-২০২২।
যশোর শহর থেকে মাত্র কয়েক কিঃ মিঃ পথ পশ্চিমে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। নানা কারনে তা দেশজুড়ে আলোচনার খোরাক। জেনোম সেন্টার, তাক লাগানো যত আবিষ্কার, হ্যাচারী আরো কতকি যে সেথা রয়েছে। তবে করোনা ভর করেছে এই আঙিনায়। মহামারির প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় অত্যন্ত সীমিত পরিসরে এই বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি উদযাপন করা হয়েছে। কর্মসূচির শুরুতে সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর প্রশাসনিক ভবনের পার্শ্ববর্তী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে স্থাপিত কাউন্টডাউন ঘড়ির সামনে ১৫তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কেক কাটা হয়।
যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের পক্ষ থেকে কেক কাটা অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের বিভিন্ন পর্বের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ, ড. মো. মেহেদী হাসান,
ডিন অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউল আমিন, ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব, ছাত্র পরামর্শ ও
নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আলম হোসেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. সেলিনা আক্তার, কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. শওকত ইসলাম সবুজ প্রমুখ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের তত্তাধানে কর্মসূচিতে বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, দপ্তর প্রধানরা, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালকরা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
উচ্চ শিক্ষার মাধ্যমে আধুনিক জ্ঞানচর্চা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০৭ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের সাজিয়ালী মৌজায় ৩৫ একর জায়গাজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। তবে, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষে। যশোর শহরের ধর্মতলাস্থ ‘বৃষ্টি মহল’ নামে একটি ভাড়া বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়।
এ ভাড়া বাড়িতেই ২০০৯ সালে ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষে ‘কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল’, ‘পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’, ‘অণুজীববিজ্ঞান’ এবং ‘ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স’ বিভাগে ২০০ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। ওই বছরের ১০ জুন ভর্তিকৃত ২০০ শিক্ষার্থী
নিয়ে মূল ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন। এখন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাতটি অনুষদের অধীনে ২৬টি বিভাগ রয়েছে।
এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ে প্রায় ৪০০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকসহ মোট ২৯০ জনের অধিক শিক্ষক, বিভিন্ন গ্রেডের প্রায় ১১৯ জন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন শ্রেণির প্রায় ৩৩২ জন কর্মচারী কর্মরত আছেন।