মোশাররফ হোসেন: “সময় বহিযা যায।” ১৯৭৫ -৮১ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলার মাঠে হকি ও ক্রিকেট খেলতাম। হকি দলের খেলোয়াড় ছিলাম। শাহাবুদ্দিন নাগরী, রোমি মঈনুল ইসলাম, শাহেদসহ বিশ্ববিদ্যালয় এথলেটিকসে প্রতিযোগিতার ধারাভাষ্যকার হিসেবে অংশ নিতে গিয়ে ১৯৭৯ সালে পরিচয় হয়েছিল শর্মিলা ও শর্মিষ্ঠা রায়ের সাথে । ওরা রাংগামাটির রাজপরিবারের মেয়ে । এথলেটিকস করত। শর্মিলা ৪০০ ও ৮০০ মিটার এবং শর্মিষ্ঠা ১০০মিটার। দৌড় হার্ডেলস, লং জাম্প । সেসময় ওরা আধুনিক রানিং সু পড়তো। রাংগামাটিতে তাদের বেড়ে ওঠা । পরে যখন দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকায় ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে কাজ করছি, তখন চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে বিভাগীয় প্রতিযোগিতায় ওরা রাংগামাটির হয়ে অংশ নিতে আসত। তখন রাংগামাটি জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদিকা ছিলেন গার্লস ইস্কুল শিক্ষক নিরুপা দেওয়ান। এথলেটিকস, হ্যান্ডবল, ভলিবলে চট্টগ্রাম জেলার সাথে জোর লড়াই করত রাংগামাটি। ওরা দুই বোন এথলেটিকসে পদক জিতেছে । পরে ১৯৮৭ সালে শর্মিলা রায় কোলকাতা সাফ গেমসে ৪০০ ও ৮০০মিটারে পি টি ঊষার সংগে দৌড়ে রুপো র পদক জিতেছে । সেসময় সাফ গেমস সংবাদ কাভার করতে গিয়েছিলাম ।
সাংবাদিক হিসেবে ফটোজার্নালিস্ট মনজুরুল আলম সহ রাংগামাটিতে খেলা হলে গিয়েছি বহুবার । শর্মিষ্ঠা রায় এখন কাস্টমস কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদিকা।
গত ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন এর কক্ষে জাতীয় ও জেলার কর্মকর্তাদের সংগে আলোচনার সময় শর্মিষ্ঠা রায়ের সংগে কথা হয়। তখন সে তার মেয়ের বিয়েতে যোগ দিতে নিমন্ত্রণ করে। জানালাম, আমি টরেন্টো ফিরে যাব ২৩ নভেম্বর । তবে আশীর্বাদ করি সবাই মিলে আনন্দময় হোক অনুষ্ঠান। আমার বন্ধু ফটো জার্নালিস্টস ও মুক্তিযোদ্ধা মনজুরুল আলম মনজু যাবে । মনজু কথা রেখেছেন ।
রাজবাড়ী সাবরাং কমিউনিটি সেন্টারের বিয়ের অনুষ্ঠানে রাজা দেবাশীষ রায় ও রানী, জেলা ও বিভাগীয় কর্মকর্তা, কাস্টমস কর্মকর্তা সহ রাংগামাটি ও চট্টগ্রামের ক্রীড়া সংগঠক ও খেলোয়াড়রা যোগ দেন । সাংবাদিকরা মিলে অনুষ্ঠান ছিল প্রাণবন্ত মিলনমেলায় রূপ নিয়েছিল অনুষ্ঠান। ছবি তুলেছেন ফটোজার্নালিস্ট মনজুরুল আলম ও তন্দ্রা ।
গত ১০ ডিসেম্বর শর্মিষ্ঠার মেয়ের বিয়ে হয়েছে।