মোশাররফ হোসেন: একুশে পদক পাওয়া দেশবরেন্য ফটোজারনালিসট পাভেল রহমান এর সাথে যোগাযোগ দীর্ঘ দিনের। ইত্তেফাক, এ পি তে ফটোজার্নালিস্ট হিসেবে কাজ করে বাংলাদেশ ও বিশ্বজুড়ে তার পরিচিতি। আবার সেই ১৬বছর বয়সে ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২নম্বর বাড়িতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ কামাল এর সংগে ঘনিষ্ঠতা। বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার স্নেহভাজন।
“স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক ” বুকে ও পিঠে লেখা ছবি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৩২নম্বর বাড়িতে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সূত্রে বিভিন্ন ঐতিহাসিক ছবি নিয়ে এখন যিনি দেশজুড়ে “বঙ্গবন্ধু কর্ণার করছেন।
আবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছবি সহ লিখছেন ধানমন্ডি ৩২ নিয়ে। ইতিহাস তুলে ধরে কালের সাক্ষী হিসেবে সময়ের সাহসী কথা বলে চলেছেন।
রংপুরে গেল শুক্রবার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে রাসেলের মিষ্টিমুখ’ বিষয়ক শিশুদের এক আলোচনা অনুষ্ঠানে, বঙ্গবন্ধুর শিশু পুত্র শেখ রাসেল সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করে পাভেল রহমান বলেছেন, মাত্র ১০বছরের শিশু শেখ রাসেল এর মত আর কোন শিশুর যেন মৃত্যু না ঘটে। ১৯৭৫সালের ১৫আগস্ট ধানমন্ডির ৩২নম্বর বাড়িতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ ফজিলাতুন নেসা মুজিব, শেখ কামাল, জামাল সহ পুরো পরিবারকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হযেছিল। ঘটনার খবর শুনে তখন আমি মর্মাহত ও বেদনায নীল হয়ে যাই। আমি ৩২নম্বর বাড়ির পাশে গিয়ে খবর জেনে অনেক কেঁদেছিলাম।ভাবছিলাম রাসেল বেঁচে আছে কিনা। বার বার জানতে চেষ্টা করে যখন শুনলাম রাসেলকেও হত্যা করা হয়েছে। শেষে আমি ভেঙ্গে পড়ি।
আজও মনে হয় শিশু রাসেলকে নিয়ে আমি খেলছি টারজান ও মেকগাইভারের মত। শেখ কামাল ভাইয়ের সংগে ঘনিষ্ঠতা থাকার জন্য আমি ৩২নম্বর বাড়িতে সবসময় যাওয়া আসা করতাম।
পাভেল জানালেন, রাসেল হত্যা, মানব সভ্যতার নিষ্ঠুরতা। এটা যেন আর না ঘটে। শিগগিরই “রাসেলের হাসিমুখ ” বই বের করবো।” এটার কাজ শেষ করে এনেছি।