মোশাররফ হোসেন : তিরাশি বছরের রেকর্ড ভেঙ্গে কানাডায় চলছে তীব্র দাবদাহ । বৈশ্বিক জলবায়ুর কুফলে কানাডায় প্রভাব পড়েছে বলে পরিবেশবাদীরা মনে করছেন ।পাশাপাশি গ্রীণ হাউস ওয়েব কম দায়ী নয় । কানাডা অবশ্য প্রতিনিয়ত কার্বোন মনোক্সাইড নিয়ে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে সোচ্চার থাকে । তবে উত্তর মেরুর দেশ বলে এমনিতে শীত প্রধান দেশ কানাডা । এখন অবশ্য বিশ্বেও পরাশক্তির মধ্যে সর্ব উত্তরের দেশ গ্রীণল্যান্ডের তুষার অনচলে বিভিন্ন সামরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য বরফে চিড় ধরেছে । গলছে বরফে ঢাকা সাগর ।ফলে পরিবর্তিত হচ্ছে আবহাওয়া ।
এর প্রভাবে কানাডার উত্তর পশ্চিমানচল জুড়ে দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে আবহাওয়া । প্রশান্ত মহাসাগরীয় অনচল ব্রিটিশ কলাম্বিয়া ও আলবার্টায় শীতকাল ও গ্রীস্মকালে আবহাওয়ার চিত্র দ্রুত বদলে যায় । তীব্র শীত ও তীব্র গরম অনুভুত হয় । প্রতিবছর তীব্র দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে থাকে ।
এখন তীব্র দাবদাহে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় বনানচলে আগুন লেগেছে । ২৭ জুন তাপমাত্রা বেড়ে ৪৭.৯ ডিগ্রি হয়েছিল । তিরাশি বছরে এটা কানাডার সর্ব্বোচচ তাপমাত্রা । তবে গেল দুদিনে কিছুটা কমে তা ৪৭.৫ ডিগ্রি । এরফলে ৩০জুন অবধি ‘হিট স্ট্রোক’ এ ৪৮৬ জন মারা গেছেন বলে সিবিসি টিভি নিউজ জানিয়েছে ।
আবার আলবার্টা রাজ্যে আগামী শনিবার ও রোববার তাপমাত্রা বেড়ে ৪২ থেকে ৪৬ হতে পারে বলে আবহাওয়া বিভাগের সূত্রে সিপি ২৪ নিউজ চ্যানেল জানিয়েছে । জনগনকে বাড়িতে বিশ্রাম নেবার পরামর্শ দেয়া হয়েছে ।টরন্টোর তাপমাত্রা ৩৯ থেকে নেমে ২৬ হয়েছে । তাও বৃষ্টি হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে । করোনার টিকা নিলেও আজ কানাডা ডে’তে মানুষ গরমের কারনে সীমিত পরিসরে বেড়াতে বেরিয়েছে ।