দুই বছর আগে বেশ ঘটা করেই স্পিন কোচ হিসেবে ড্যানিয়েল ভেট্টোরিকে নিয়োগ দিয়েছিল বিসিবি। নিউজিল্যান্ডের সাবেক এ বাঁহাতি স্পিনারের প্রতি ছিল বিসিবির আকাশছোঁয়া প্রত্যাশা। তাই তো মোটা অংক ব্যয়েও দ্বিধা করেনি বিসিবি। দৈনিক আড়াই হাজার ডলার পারিশ্রমিকে বছরে ১০০ দিনের চুক্তিতে ভেট্টোরিকে নিয়োগ দিয়েছিল বিসিবি।
কিন্তু প্রত্যাশার বিপরীতে প্রাপ্তির অংক উল্লেখ করার মতো নয়। দুই বছরেও বিসিবির সঙ্গে কাজের ১০০ দিন পূর্ণ হয়নি হাই প্রোফাইল কোচ ভেট্টোরির। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে নিয়োগ পাওয়া স্পিন কোচ ৬০ দিন কাজ করেছেন। বাংলাদেশ দলের চলমান নিউজিল্যান্ড সফরে অবশিষ্ট ৪০ দিন কাজ করে দিবেন তিনি।
আর এ সফর দিয়েই আপাতত ভেট্টোরির অধ্যায় শেষ হচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে। তার সঙ্গে আর চুক্তি নবায়ন করবে না বিসিবি। তাই এ সিরিজের পরই নতুন স্পিন কোচ খুঁজতে হচ্ছে বিসিবিকে।
সোমবার বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজনের কণ্ঠে তেমন কিছুর আভাসই পাওয়া গেল। ভেট্টোরির সঙ্গে চুক্তির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিসিবির এ শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘উনি (ভেট্টোরি) আমাদের সঙ্গে থাকেন না থাকেন কাউকে আমাদের লাগবে। এটা নিয়ে কিছু একটা আমরা অবশ্যই করবো। কিন্তু কি করবো বা কাকে করবো সেটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।’
দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে হোম সিরিজে কাজ করেননি ভেট্টোরি। করোনার কারণে ঢাকায় আসেননি তিনি। তখনই বিসিবি থেকে জানানো হয়, নিউজিল্যান্ড সিরিজে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে কাজ করবেন সাবেক এ কিউই অধিনায়ক।
২০১৯ সালের অক্টোবর-নভেম্বর ভারত সফর দিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন ভেট্টোরি। ভারত সফরে দলের সঙ্গে থাকলেও ২০২০ সালের শুরুতে পাকিস্তান সফরে দেখা যায়নি তাকে। নিরাপত্তার কারণে বাংলাদেশ দলের সঙ্গী হননি তিনি। পরে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে হোম সিরিজের আগে ভেট্টোরিকে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু অল্প কিছুদিন কাজ করেই দেশে ফিরে যান তিনি। তারপরই আসে করোনার ধাক্কা। প্রায় এক বছর টাইগারদের তাঁবুতে অনুপস্থিত ভেট্টোরি।
দেশের তরুণ, উঠতি স্পিনারদের নিয়ে কাজ করবেন ভেট্টোরি এমনটাও বলা হয়েছিল বিসিবি থেকে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। মোটা অংক ব্যয় করলেও ভেট্টোরিকে নিয়োগ কার্যত বিসিবির জন্য ‘লস প্রজেক্টই’ বটে।