সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে আবারও জাগ্রত রাজধানীর শাহবাগ। বিক্ষোভ-প্রতিবাদে দাবি ওঠে সাম্প্রদায়িক সব হামলার বিচার, আর সব ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতের।
সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় আইন প্রণয়ন ও কমিশন গঠন করতে সরকারকে দুই সপ্তাহের সময় বেঁধে দেন বিক্ষোভকারীরা।
এদিকে প্রতিবাদ সমাবেশের কারণে রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের প্রতিবাদে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন সংগঠন শাহবাগ মোড়ে এসে প্রতিবাদ করতে থাকে। কিন্তু বিকেল ৪টার পর তারা রাস্তা অবরোধ করে বসে পড়েন। তাদের সরিয়ে দিয়ে রাস্তা ফাঁকা করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান শাহবাগ থানার ডিউটি অফিসার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহাবুদ্দিন। খবর পেয়ে পুলিশ ও র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রেখেছেন।
এদিন সন্ধ্যার দিকে শুরু হয় মশাল মিছিল। মৎস্য ভবন হয়ে রাজধানীর প্রেসক্লাব এলাকায় গিয়ে শেষ হয় প্রতিবাদী এ কর্মসূচি। এসময় কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ক্ষোভ জানান তারা।
এসময় ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দ্রুত সময় সাম্প্রদায়িক হামলা বিচার, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের দাবি জানানো হয়।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, সন্ত্রাসীদের জানিয়ে দিতে চাই যে এই দেশে অন্যায় করে পার পাওয়া যাবে না। এটা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, এটা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ।
দাবি ওঠে সাম্প্রদায়িক সংহিসতার জড়িত সবাইকে শাস্তির আওতায় আনার। সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়নের জোরাল আওয়াজও ছিল প্রতিবাদ কর্মসূচিতে।
তারা বলছেন, দুষ্কৃতিকারীদের কঠোর সাজা হওয়া দরকার। পাশাপাশি আশা করি, সরকার যেন আমাদের দাবিগুলো মেনে নেয়। আমরা আর নির্যাতিত হতে চাই না। দুই সপ্তাহের মধ্যে যদি সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা না হয়, তবে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।
সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে সরব সংস্কৃতি কর্মীরাও। বিকেল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যে সহিংসতা বিরোধী কনসার্টে অংশ নেয় দেশের শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকটি ব্যান্ড।