মোঃ আনিসুর রহমানঃ সাকিব মেহেদির লন্ডবন্দ জিম্বাবুয়ে। শুরুটা অনেক ভাল করেছিল জিম্বাবুয়ে দল ২য় দিন শেষে ১ উকেটে ১১৪ রান ছিল। ৩য় দিনেও ভাল ব্যাটিং করছিল। ব্রেন্ডন টেইলর আর কাইতানোর ব্যাটিং দৃঢ়তায় সকাল থেকে দিশেহারা বাংলাদেশের বোলাররা। নানা চেষ্টায়ও ফেরানো যাচ্ছিলো না তাদেরকে। এসময় এগিয়ে আসেন মেহেদি হাসান মিরাজ। সেঞ্চুরির পথে থাকা টেইলরকে ৮১ রানে সাজঘরে ফেরান তিনি।
একপ্রান্ত আগলে ইস্পাত কঠিন মনোবল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ওপেনার কাইতানো। এই ম্যাচেই অভিষেক তার। অন্যপ্রান্তে সতীর্থদের আসা-যাওয়া দেখছিলেন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। নিজে একটু একটু করে এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। তবে তার স্বপ্নও ভাঙলেন মিরাজ। ৩১১ বল মোকাবেলা করে ৮৭ রান করা কাইতানোকে কট বিহাইন্ড করেন এই অফস্পিনার।
এরপর পরপর ৩ ওভারে একে একে আউট করেন টিরিপানো, নাওচি আর মুজারাবানিকে। মিরাজ তুলে নেন ৫ উইকেট। ২৭ টেস্টের ক্যারিয়ারে তার উইকেট সংখ্যা এখন ১০৯টি।
এরপর লোয়ার মিডল অর্ডার ধ্বসিয়ে দেন মিরাজ-সাকিব। দু’জন মিলে এখন পর্যন্ত তুলে নেন ৯টি উইকেট। মিরাজের শিকার ৫টি আর সাকিব তুলে নেন ৪টি উইকেট।
জিম্বাবুয়ে অলআউট হয় ২৭৬ রানে। বাংলাদেশ দল ২য় ইনিংসের শুরুটাও ভাল করেছে কোন উইকেট না হাড়িয়ে ৪৫ রান। ১ম ইনিংসে শুন্য রানে আউট হওয়া সাইফ হাসান ভালভাবেই ব্যাটিং করছেন। সাইফ ২০ এবং সাদমান ইসলাম ২২ রানে অপরাজিত আছে।