স্বপ্ন দেখিয়েও পারলো না টাইগাররা। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ৪ উইকেটে হারাল পাকিস্তান। বাংলাদেশের দেওয়া ১২৮ রানের টার্গেট ৪ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়েছে সফরকারী দল। এ জয়ের ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল পাকিস্তান।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ১২৮ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুর দিকেই চাপে পড়ে পাকিস্তান। ২৪ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারী দল। পাকিস্তান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মুস্তাফিজুর রহমান। দলীয় ১৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাবর আজম বাহিনী। মুস্তাফিজের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে আউট হন মোহাম্মদ রিজওয়ান। রিজওয়ানকে সরাসরি বোল্ড আউট করেন কাটার মাস্টার। ফেরার আগে ১১ বলে ১১ রান করেন পাকিস্তান ওপেনার। পরের ওভারে তাসকিন তুলে নেন বাবর আজমের উইকেট। ১০ বলে ৭ রান করে ফিরে যান বাবর।
এরপর হায়দার আলিকে প্যাভিলিয়নে ফেরান মেহেদী হাসান। অভিজ্ঞ শোয়েব মালিককে রানআউট করেন নুরুল হাসান সোহান। শোয়েব মালিক ৩ বল খেললেও কোনো রান যোগ করতে পারেননি স্কোর বোর্ডে। এরপর খুসদিলকে নিয়ে ৫৬ রানের জুটি গড়েন জামান। ৩৪ বলে জামানকে নুরুল হাসানের ক্যাচ বানান তাসকিন। খুসদিল শাহর উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। শেষ দিকে শাদাব খানের ১০ বলে ২১ ও মোহাম্মদ নেওয়াজের ৮ বলে ১৮ রানে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১২৭ রানে থেমেছে বাংলাদেশের ইনিংস। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে শুরু করে বাংলাদেশ। নাঈম শেখের পর একে একে বিদায় নেন সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় টাইগাররা।
দলীয় ৩ রানে ব্যক্তিগত ১ রান করে হাসান আলির শিকার হন নাঈম শেখ। মোহাম্মদ রিজওয়ানকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন নাঈম। বাংলাদেশের ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে টেস্ট মেজাজে খেলে আউট হন সাইফ হাসান। ৮ বল খেলে স্কোর বোর্ডে মাত্র ১ রান যোগ করেন তিনি। এরপর শান্ত ৭ রানে ও রিয়াদ ৬ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। মোটামুটি খেলতে থাকা আফিফ সামনে এগিয়ে শাদাব খানকে মারতে গিয়ে স্টাম্পিং হন। আউট হওয়ার আগে তিনি ৩৪ বলে করেন ৩৬ রান। তার ইনিংসে ছিল দুটি করে চার ও ছয়ের মার। এরপর নুরুল হাসান সোহান ও মেহেদী হাসান মিলে গড়ে তুলেন ৩৫ রানের জুটি। এ সময় ২২ বলে ২৮ রান করে হাসান আলির বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন নুরুল।
তাতে থমকে দাঁড়ায় বাংলাদেশের ইনিংস। শেষ দিকে মেহেদী হাসানের ব্যাটে ভর করে শত রান পার করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত মেরে খেলে ২০ বলে ৩০ রান করেন মেহেদী। মাঝে আমিনুল ইসলাম বিপ্লব আউট হন ২ রান করে। ৩ বলে এক ছয়ে তাসকিন করেন ৮ রান। পাকিস্তানের হয়ে ৩টি উইকেট নেন হাসান আলি। দুই উইকেট পান মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। একটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ নেওয়াজ ও শাদাব।