আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, নির্বাচন ছাড়া অন্য কোন ভাবে বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের পতন ঘটানো যাবে না।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠত হয়।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শুধুমাত্র জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তন সম্ভব। নির্বাচন ছাড়া কোন ধরণের হুমকি-ধমকি দিয়ে বর্তমান নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারের পতন করা যাবে না। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে এ দেশে জাতীয় নির্বাচন হবে। জনগণ আমাদের ক্ষমতার উৎস। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আগামী দিনে আবারও সরকার গঠন করতে চায়।
তিনি বলেন, যারা মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে; বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না; তারাই এখন বর্তমান নির্বাচিত সরকারকে হুমকি-ধমকি দিয়ে বর্তমান সরকার পতনের দুঃস্বপ্ন দেখছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল বিএনপি এ দেশের যে ক্ষতি করেছে, যে সর্বনাশ করেছে, যেভাবে তারা নিজেদের কবর নিজেরাই খুঁড়েছে, সেই কবর থেকে বিএনপি আর কোনো দিন বের হতে পারবে না।
তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে তারা যদি নিজেদের সম্পৃক্ত করতে না পারে, মানুষের কাছে যদি ক্ষমা না চায়, যারা শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, দুর্নীতি করেছে, দেশকে ধ্বংস করেছে, বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে দেশকে পিছিয়ে দিয়েছে, তারা এদেশের ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলালের সঞ্চালনায় সভায় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম. ইকবাল আর্সলান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভা শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সকল শহীদদের স্মরণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।