বড় ধরনের আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়লেন নাজমুল একাদশের আফিফ হোসেন ধ্রুব। দলীয় ১৭৮ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৯৮ রান করে রান আউটের ফাঁদে পড়ে সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়ে মাঠ ছাড়েন আফিফ। ৯ম ওভারে দলীয় ৩১ রানের মাথায় তিন উইকেট পড়ে গেলে মাঠে নামেন আফিফ। এরপর মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ১৪৭ রানের জুটি। আর তাতেই বড় সংগ্রহের পথে থাকে নাজমুল একাদশ।
এর আগে মিরপুর শের-ই-বাংলায় টস জিতে নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের ২য় ওভারে দলীয় ১৩ রানে রুবেল হোসেনের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন সৌম্য সরকার (৮)। এরপর ৬ষ্ঠ ওভারে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত (৩) এবং ৯ম ওভারে এসে পারভেজ হোসেন ইমন (১৯) ফেরেন দলীয় ২৭ ও ৩১ রানে। ইনিংসের প্রথম ১০ ওভারেই তিন তিনটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে নাজমুল একাদশ।
তবে চতুর্থ ও পঞ্চম উইকেটে নামা মুশফিকুর রহিম এবং আফিফ হোসেন ধ্রুব মিলে গড়েন দুর্দান্ত এক জুটি। ৯ম ওভার থেকে ইনিংসের ৩৯তম ওভার পর্যন্ত ব্যাট করেন এই দুই ব্যাটসম্যান। এরমধ্যে দলীয় সংগ্রহ ৩১ থেকে ১৭৮ রানে নিয়ে যান তারা। আফিফ অবশ্য স্বপ্নের তিন অংকের রানের কাছে পৌঁছে গেলেও মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন।
আফিফ ফিরে যাওয়ার মাত্র দুই ওভার পরেই অর্ধশতক হাঁকানো মুশফিকুর রহিমও ফিরলেন দলীয় ১৮৭ রানে। ফেরার আগে মুশফিক নামের পাশে যোগ করতে পেরেছিলেন ৫২ রান। রিয়াদের দলের হয়ে প্রথম পাঁচটি উইকেটের মধ্যে সৌম্য ও নাজমুলকে তুলে নেন রুবেল হোসেন আর পারভেজ হোসেনের উইকেট নেন সুমন খান। আর মুশফিকুর রহিমের উইকেট তুলে নেন এবাদত হোসেন।
শেষ ওভারে রুবেল হোসেন নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন রিশাদ হোসেনকে। আর শেষ দিকে ইরফান শুক্কুরের ৩০ বলে ৪৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৪ রান তুলতে সক্ষম হয় নাজমুল একাদশ। জয়ের জন্য মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একাদশের জন্যের জয়ের লক্ষ্য দাঁড়াল ২৬৫ রানের।
স্কোরবোর্ড:
নাজমুল একাদশ: ২৬৪/৮ (৫০ ওভার); (আফিফ ৯৮, মুশফিক ৫২); (রুবেল ৩/৫৪; এবাদত ২/৬০)