মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় রবিবার (৭ মার্চ) সকালে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনসমূহ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর আয়োজিত র্যালির ব্যানারের সামনে দাঁড়িয়ে ফটোসেশনের সময় কটূক্তি করা নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
এসময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়। মারাত্মক আহত পৌর যুবলীগের সভাপতি শহীদ মোল্যাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিকল্প খালাশীকে রাজৈর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
একাধিক দলীয় সূত্রে জানা যায়, রাজৈর উপজেলার বেপারীপাড়া মোড়ে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালন উপলক্ষে রবিবার সকাল ৮টার দিকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর আয়োজিত র্যালির ব্যানারের সামনে দাঁড়িয়ে ফটো সেশনের সময় মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লার সমর্থক উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জামাল মাতুব্বর ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহজাহান খান এমপির সমর্থক উপজেলার বঙ্গবন্ধুর মানব কল্যাণ পরিষদের সভাপতি নাসির খালাসী মধ্যে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয় এবং একপর্যায়ে দ্বিধা বিভক্ত আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনসমুহের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এসময় পৌর যুবলীগের সভাপতি শহীদ মোল্যা মারাত্মক আহত হয়। শহিদ মোল্যাকে প্রথমে রাজৈর ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে বেলা ১০টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিকল্প খালাশী রাজৈর বাসষ্ট্যান্ড দিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন বিকল্প খালাশীকে বেদম মারধর করে। পরে মারাত্মক আহত অবস্থায় বিকল্প খালাশীকে উদ্ধার করে রাজৈর হাসপাতালে ভর্তি করে। এসময় তার মোটর সাইকেলটি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
রাজৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জমিরউদ্দিন খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, উভয় গ্রুপকে সাথে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানগুলি সম্পন্ন করার চেষ্টা করলেও একটি পক্ষ প্রত্যেকটি অনুষ্ঠান পালনে বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করে আসছে। ইতোপূর্বে ৪ মার্চ আওয়ামী লীগ অফিসে উভয় গ্রুপের যৌথ অংশগ্রহণে ৭ মার্চ পালনে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও উভয় গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি হয়। ১৫ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভা কক্ষে ২৬ মার্চ উদযাপনে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি হয়। এভাবে যেকোনো রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে সংঘাত লেগেই থাকে।
রাজৈর থানার ওসি শেখ সাদিক জানান, ছবি তোলা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।