মোশাররফ হোসেন: তুমি আর একবার আসিয়া.. যাও মোরে কানদাইয়া, আমি মনের সুখে একবার কাঁদতে চাই..। সুখ তুমি কী যে.. জানতে ইচ্ছে করে…। টরনটোর এগলিংটন এসকোয়ারে গতকাল কাজের সন্ধানে হাজারের বেশি বাঙালির ঢল দেখে এরকম উপলব্ধি হওয়াই স্বাভাবিক। উন্নত দেশে সবাই আসবেন। এটাই স্বাভাবিক। তবে বাড়ীঘর , জমি বিক্রি করে নয়। শিক্ষা ও দক্ষতা ছাড়াও নয়। সেটা কৃষিকাজ হোক, রান্না হোক, কিংবা , আইটি হোক। বাঙালি এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের পর লন্ডন, পেরিস, নিউইয়র্কের পর এখন কানাডাতে এসে পড়েছেন হাজার হাজার। মনটিরিয়াল, ভেনকুভার কেলগেরির পর টরনটো। বাঙালি এলাকা ডেনফোরথের রেস্টুরেন্টে উপচে পড়া ভিড়। সিগারেটের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন ফুটপাত। অভিবাসন আইনজীবীদের অফিসে দীর্ঘ লাইন। এবার এমপিপি ডলি বেগম আয়োজন করলেন কাজের সন্ধানে মেলা। সেখানেও হাজারের বেশি বাঙালির ঢল নেমেছিল। ভ্রমণ ভিসার সুযোগ নিয়ে টরনটোতে অনাকাঙ্খিত ঢল। মুশকিল হল, বেড়াতে কিংবা আমন্ত্রিত হয়ে এসে পড়েছেন সবাই। কিন্ত এসেই কাজের সন্ধানে ছোটাছুটি করছেন। কারো কাজের অনুমতিপত্র নেই। আশ্রয় চাইতে হবে। এজন্য জন প্রতি ১০ থেকে ৩০ হাজার ডলার খরচ লাগে। অভিবাসন আইনজীবীদের মাধ্যমে সরকারের কাছে আবেদন ও অনুমোদন শেষে চাকরির সুযোগ পাবেন। কাজের অনুমতিপত্র অবশ্যই লাগবে। যোগ্যতা ও মেধার সংগে দক্ষতা থাকতে হবে। অবশ্যই কানাডার কাজের প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। উন্নত দেশে এজন্য ছাত্র ছাত্রীদের যেমন কোর্স করতে হয়, তেমনি ইংরেজী জানা চাই। এসব নতুন অভিবাসন লোকজনের জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা করে। এরাই কাজের সুযোগ করে দেন। সেরকম কাজের সন্ধানে মেলা আয়োজন করেন বাঙালিদের একমাত্র এমপিপি ডলি বেগম। এসকারবরো নেইবারহুড, এ এফসি, মিডওয়ে , সেনটিনিয়ান কলেজ, কম্পিউটেক কলেজ জীবন বৃত্তান্ত জমা নেন। আসলে বেশির ভাগ এখনই কাজের জন্য গিয়েছেন। তা না পেয়ে হতাশ। এমপিপি ডলি বেগম বলেন, আমরা চেষ্টা করছি আগত বাঙালিদের দ্রুত কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করা। এজন্য ধৈর্য্যের প্রয়োজন। মেলাতে আগতরা বলেছেন, উচ্চ ঘরভাড়া, খাদ্যের দাম উচ্চতর। সবমিলে বেচে থাকার জন্য যে খরচ তা বেশিরভাগের নেই। এজন্য কাজের অনুমতিপত্র নিয়ে নিম্ন আয়ের কাজ জরুরি। তাতো নেই। অনিশ্চিত এক জীবন যুদ্ধের মধ্যে পড়ে গেছি।