সাংবাদিকতায় একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষা সৈনিক, তৎকালীন পাকিস্তান ফেডারেল জার্নালিস্টস ইউনিয়নের সভাপতি এবং স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, মধ্যপ্রাচ্যে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রদূত, সাংবাদিক- কলামিস্ট, মুক্তকণ্ঠে আমার অভিভাবকতুল্য সম্পাদক পরম শ্রদ্ধাভাজন কেজি মুস্তাফার ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এদিনে তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
কেজি মুস্তাফা ১৯২৮ সালে সিরাজগঞ্জের কুড়িপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। পুরো নাম খোন্দকার গোলাম মোস্তফা। তাঁর বাবা খোন্দকার ওয়াসিউজ্জামান এবং মা তাহিয়াতুন্নেসা। তিনি ১৯৪৪ সালে সিরাজগঞ্জের বনোয়ারীলাল বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ ও পরে কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ থেকে ইন্টারমেডিয়েট পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম.এ পড়াকালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের পক্ষে আন্দোলনে অংশ নেয়ায় বহিষ্কৃত হন।
কে.জি মুস্তাফা ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। পরে তিনি ১৯৫৭ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন।
দেশ বিভাগের আগে থেকেই ইসলামিয়া কলেজে পড়াকালীন তিনি কলকাতার দৈনিক আজাদ পত্রিকায় যোগ দেন। পরবর্তীকালে তিনি দৈনিক ইনসাফ, দৈনিক ইত্তেফাক, বাংলাদেশ অবজারভার, দৈনিক পূর্বকোণ ও সংবাদ পত্রিকায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। শেষ জীবনে তিনি বেক্সিমকোর দৈনিক মুক্তকণ্ঠের সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।এছাড়া ইরাক টুডে ও ডেইলি বাগদাদ অবজারভার পত্রিকায় কাজ করেছেন। তিনি সাংবাদিকতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেন।
কে.জি মুস্তফা বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত লেবাননে এবং ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ইরাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন।
তথ্যসূত্র- জাপান প্রবাসী হারুন অর রশীদ।