অক্সফোর্ডে-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণের পর ইউরোপে কয়েকজনের দেহে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক। ইতালিসহ আরও কয়েকটি দেশ এই টিকা নিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছে। এরই সূত্র ধরে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। শুক্রবার (১২ মার্চ) তারা বলেছে, এই টিকা ব্যবহারের ফলেই রক্ত জমাট বেঁধেছে এমন কোনো নির্দিষ্ট প্রমাণ নেই।
তবে এ টিকা ব্যবহারেই যে রক্ত জমাট বাঁধার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি, তা জোর দিয়ে বলতে পারছে না সংস্থাটি। আবার গতকালই তাড়াহুড়ো করে জনসন এন্ড জনসনের এক ডোজের টিকা জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন করেছে ডব্লিউএইচও। সব মিলিয়ে ভ্যাকসিন ধোঁয়াশা কাটছে না।
ডব্লিউএইচওর মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস দাবি করেছেন, ‘অন্যান্য কোভিড টিকার মতোই অক্সফোর্ডের কোভিশিল্ডও একটি অসাধারণ টিকা।’ টিকার সুরক্ষা নিয়ে কোনো সংশয় থাকলে তা পর্যালোচনার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মনে করেন হ্যারিস। তিনি বলেন, ‘অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ব্যবহারে বাধা নেই। তবে এর সুরক্ষাসংক্রান্ত বিষয়ে সংশয় থাকলে তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা উচিত। তবে এই মুহূর্তে এ কথা বলা ঠিক নয় যে আমরা তা ব্যবহার করব না।’
ডেনমার্ক, নরওয়ে, ইতালিসহ বেশ কয়েকটি দেশ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাদান কর্মসূচি বাতিল করেছে। সর্বশেষ থাইল্যান্ড অক্সফোর্ডের টিকাদান কর্মসূচি স্থগিত করেছে। গতকাল টিকাদান শুরুর কথা থাকলেও দেশটির প্রধানমন্ত্রী এই কর্মসূচি বাতিল করেছেন। ইউরোপের প্রায় ৫০ লাখ মানুষ এরই মধ্যে অক্সফোর্ডের টিকা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ৩০ জনের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণ দেখা দেওয়ার কথা জানা গেছে। ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ) বলছে, টিকার কারণেই এই লক্ষণ দেখা গেছে তার কোনো প্রমাণ নেই। আর এর সুবিধা ঝুঁকির চেয়ে অনেক বেশি।