ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে অংশীদার ও সহযোগিতা চুক্তি সইয়ে সম্মত বাংলাদেশ। এ ছাড়া ব্রাসেলসের সঙ্গে সর্ম্পক আরেক ধাপ উচ্চতায় নিয়ে যেতেও আগ্রহী ঢাকা। ইইউর সঙ্গে প্রথম রাজনৈতিক সংলাপ শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এ সংলাপ শুরু হয়। সংলাপে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম আর ইইউর পক্ষে সংস্থাটির ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এনরিকে মোরা। বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, চলমান অর্থনৈতিক ও জ্বালানি-রোহিঙ্গা সংকটের পাশাপাশি ভূরাজনৈতিক বিভিন্ন ইস্যু আলোচনায় গুরুত্ব পায়। সংলাপ শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, শুল্কমুক্ত সুবিধা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে আলোচনায় গুরুত্ব দিয়েছে ঢাকা। এ সময় ইইউ ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, রুশ ইউক্রেন যুদ্ধের পর ভিন্ন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছে গোটা বিশ্ব। এ সময় বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন অংশীদারিত্ব খুবই জরুরি বলেও মনে করেন তিনি। এনরিকে মোরা জানান, জাতিসংঘে রাশিয়া ইউক্রেন ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে সন্তুষ্ট ইইউ। আমরা কখনই কাউকে চাপ দিয়ে তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে চাই না। বাংলাদেশের অগ্রগতি ও ভূরাজনৈতিক অবস্থানের কারণেই এদেশ নিয়ে ইউরোপের আগ্রহ বেড়েছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও ইইউ’র মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করাই এ সংলাপের প্রধান উদ্দেশ্য। দুই পক্ষের মধ্যে কাজের ক্ষেত্র বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই পার্টনারশিপ অ্যান্ড কো-অপারেশন এগ্রিমেন্ট (পিসিএ)