মোশাররফ হোসেন: করোনা জয়ের পর ডেল্টা, এখন ওমিক্রন। সংগে যুক্ত হয়েছে তুষারপাত। সব মিলে এখন বিপর্যস্ত কানাডা। শীতের মাত্রা মাইনাস ১৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি। সংগে ঝড় গতির বাতাসে হাড় কাঁপিয়ে দিচ্ছে। অন্টারিও, কুইবেকে এখন করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। দিনে ১৭থেকে ১৮হাজার। বৃটিশ কলাম্বিয়া, আলবার্টা, উত্তর অনচল, নিউফাউনডলেযানড, লাবরাডর, উকন এলাকায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এসব থেকে জনগণকে বাঁচাতে প্রাদেশিক সরকার গুলো বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কুইবেকে রাত ১০টা থেকে সকাল ৫টা কারফিউ দেয়া হযেছে। অন্টারিও প্রদেশে সমাবেশ অন্দরে ৫ ও বাহিরে ১০জন্ করা হয়েছে। বিযে, মরণযাত্রা, ধর্মীয় সমাবেশে ৫০ ভাগ উপস্থিতির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে করোনার তৃতীয় ডোজ ও ওমিক্রন প্রতিরোধে বুস্টার ডোজ দেয়া হচ্ছে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। ফার্মাসি ওযাক ইন ক্লিনিকে এটা শেযার জন্য মাইনাস তাপমাত্রায় মানুষের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।
স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সশরীরে উপস্থিতি বন্ধ রাখা হয়েছে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। অনলাইনে ক্লাস করতে হবে আরও অনেক দিন। বাজার সীমিত আকারে করা গেলে ও রেসতোরা ও বারে খাবার খাওয়া বন্ধ করে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এরকম পরিস্থিতিতে জীবন যাপন সকলের জন্য কঠিন হয়ে গেছে। তারপরও জীবন থেমে নেই। চাকুরি ও ব্যাবসা চলছে। আবার ও ভরতুকি দেয়ার ঘোষণা দিযেছে কানাডা সরকার। কললানকামী রাষ্ট্র হিসেবে কানাডা মহাদূর্যোগের তার নাগরিকদের বিশেষ ভাতার ব্যাবস্থা করে বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
এদিকে তুষারপাত হয়েছে ১৫ থেকে ২০সেন্টিমিটার। সংগে ঝড়োগতির বাতাসে জীবন বিপর্যস্ত। সকলে তাপমাত্রা উপযোগী হাত মোজা, কেট, টুপি, মাফলার, হুডি, সোয়েটার পরে কাজে বের হয়। কোথাও কোথাও হাঁটু সমান তুষারপাত হয়েছে। তাই মহাদূর্যোগে মহাসতরকতা অবলম্বন করে সবাই।