ঘরোয়া ক্রিকেটের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। প্রতি মৌসুমেই পক্ষপাতদুষ্ট আম্পায়ারিংয়ের অভিযোগ ওঠে। সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে কখনও সেভাবে পরামর্শও চাওয়া হয়নি, বলছেন আইসিসির ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশিদ রাহুল।
তবে শিগগিরই বদলে যাবে এ চিত্র, প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আম্পায়ার্স কমিটির নতুন চেয়ারম্যান ইফতেখার মিঠু। হাইপ্রোফাইল ক্লাবগুলোর ক্ষেত্রেও আম্পায়াররা যাতে প্রভাবমুক্ত থেকে সিদ্ধান্ত দিতে পারেন, সেই পরিবেশও নিশ্চিত করতে চান তিনি।
সাকিব আল হাসানের উইকেটে লাথি মারার ঘটনা ভোলেনি কেউ। সেটা ভোলার মতো নয়ও। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে আম্পায়ারদের ওপর বিরক্ত হয়ে এমন কাণ্ড ঘটান মোহামেডানে খেলা সাকিব। পক্ষপাতদুষ্ট আম্পায়ারিং নিয়ে দীর্ঘদিনের বিতর্ক আরও উস্কে দেয় যা।
পেশাদার ক্রিকেটের নিচের স্তরে আম্পায়ারদের নিয়ে অভিযোগ গুরুতর। অভিযোগ আছে, মাঠের খেলায় নির্দিষ্ট কিছু ক্লাবকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়। বছরের পর বছর এসব অভিযোগ উপেক্ষা করেছে আম্পায়ার্স কমিটি।
আইসিসির ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশিদ রাহুল বলেন, `আগে খুবই কম পরামর্শ নেওয়া হতো আমাদের। কিন্তু এখন যেহেতু ইফতেখার মিঠু ভাই দায়িত্ব নিয়েছেন, আশা করি ভালোই হবে।’
এত দুর্নাম যে ডিপার্টমেন্টকে নিয়ে, নতুন চেয়ারম্যান তা কীভাবে বদলাবেন? আম্পায়ার্স কমিটির নতুন চেয়ারম্যান ইফতেখার মিঠু বলেন, এটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। মান অনেক নিচে নেমে গেছে। নাহলে এত অভিযোগ আসতো না।
কমিটি প্রধান পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন। কিন্তু পথটা তো এত সহজ নয়। বোর্ডের প্রভাবশালী অনেক পরিচালকই যে নানা ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত। আম্পায়ার্স কমিটি কঠোর হলে, তাদের সঙ্গে স্বার্থের সংঘাত তৈরি হতে পারে।
ঘরোয়া ক্রিকেটের দুঃখ আম্পায়ারিং। এ কালিমা দূর করতে কথার মতোই ধারালো হতে হবে পুনর্গঠিত আম্পায়ার্স কমিটিকে।