1. doorbin24bd@gmail.com : admin2020 :
  2. reduanulhoque11@gmail.com : Reduanul Hoque : Reduanul Hoque
September 16, 2024, 3:38 am
সংবাদ শিরোনাম :

চলতি অর্থবছরের শেষ নাগাদ মূল্যস্ফীতির চাপ সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে

  • প্রকাশিত : শুক্রবার, জানুয়ারি ১৩, ২০২৩
  • 90 বার পঠিত

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও এলএনজির দাম কমতে থাকায় চলতি অর্থবছরের শেষ নাগাদ মূল্যস্ফীতির চাপ সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে।
আজ সংসদে উপস্থাপন করা চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের বাজেট বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদনে তিনি বলেন,‘সরকার অপ্রয়োজনীয় ও বিলাস পণ্যের আমদানি নিরুৎসাহিত করেছে। এ পদক্ষেপ নেওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও খুব দ্রুত আগের মতো শক্ত অবস্থানে ফিরবে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি (২০২২-২৩) অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রাজস্ব আয়, রেমিট্যান্স, রপ্তানি প্রবৃদ্ধি, এডিপির ব্যয়, ব্যাপক মুদ্রা সরবরাহসহ মৌলিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক চালকসমূহের অবস্থান সন্তোষজনক। আমদানি ও রপ্তানি আয়ে উভয়ক্ষেত্রে ধণাত্মক প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। চলতি অর্থবছর সরকারের কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জিত হবে বলে আশা করছি।
তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড স্বাভাবিক হয়ে আসা এবং মধ্যবর্তী পণ্য ও মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি বেড়ে যাওয়ায় আমদানি ব্যয় গত অর্থবছরের একই সময়ে অনেক বেড়েছিল। বর্তমানে বিলাস পণ্যের আমদানি পরিহার করা ও সরকারের কৃচ্ছসাধন নীতির কারণে আমদানি খরচ কমেছে।’
তিনি বলেন, ‘গত অর্থবছরের প্রথম তিনমাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে আমদানি ঋণপত্র ৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ কম খোলা হয়েছে। বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ছিল ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। সেই তুলনায় ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর সময়ে বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ। অন্যদিকে পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি সেপ্টেম্বর ২০২১-এর ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশের তুলনায় সেপ্টেম্বর ২০২২-এ ৯ দশমিক ১০ শতাংশ হয়েছে।’
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘কোভিড পরিস্থিতির থেকে অর্থনীতি দ্রুত ঘুরে দাঁড়ালেও চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী তেল, গ্যাসসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য এবং গম, ভোজ্যতেলসহ প্রধান খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে। ফলে উন্নত দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি সৃষ্টি হয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনীতিতে নানান বিরূপ প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে, যা থেকে বাংলাদেশও মুক্ত নয়।’
চলতি অর্থবছর রাজস্ব আহরণ আশানুরূপ হারে বাড়বে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আর্থিক খাতে খেলাপি ঋণের মাত্রা কমিয়ে আনাসহ আমানতকারীদের স্বার্থ সুরক্ষা করা ও কাক্সিক্ষত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়ানোর মাধ্যমে বিনিয়োগের গতিধারা সমুন্নত রাখতে সরকার সচেষ্ট।’
চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এতে আশাবাদী হওয়ার পূর্ণ সুযোগ আছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এবার জুলাই প্রান্তিকে রাজস্ব আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। সরকারি ব্যয়ও বেড়েছে। রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি আমদানি ব্যয়ের প্রবৃদ্ধি কমেছে। চলমান মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে।’
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমি অত্যন্ত আশাবাদী মানুষ। আমাদের অর্থনীতির অন্তর্নিহিত শক্তি, বিভিন্ন বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ অভিঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের নেওয়া বাস্তবমুখী পদক্ষেপের ফলে অর্থনীতির প্রত্যাশিত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও বিরূপ প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। এসব বৈরী পরিস্থিতি মোকাবিলা করে দেশ সামষ্টিক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সামনে এগিয়ে যেতে পারবে বলে আশা করছি।’

সংবাদটি শেয়ার করুন :
এ জাতীয় আরও খবর

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বু বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  
© All rights reserved © 2024 doorbin24.Com
Theme Customized By Shakil IT Park