জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ বিদ্যমান এবং সরকার বিনিয়োগকারীদের জন্য নানাবিধ আর্থিক ও অ-আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করছে। তাই জাপানি ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে আরো অধিক হারে বিনিয়োগের আহবান জানান তিনি।
মঙ্গলবার ( ২ ফেব্রুয়ারি) এক ভার্চুয়ালি সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি (বিডা), বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথোরিটি (বেজা), জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (জাইকা)র সম্মিলিত উদ্যোগে ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। এসময় জাপানি বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দুই শতাধিক প্রতিনিধি সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত জনাব নাওকি ইতো এবং প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। মুখ্য সচিব বলেন, বাংলাদেশের মানুষের আয় ক্রমাগত বাড়ছে এবং দেশেই বিশাল ভোক্তা শ্রেণী ও বাজার তৈরি। জাপানি ব্যবসায়ীদের এই সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য দেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।
বিনিয়োগ গন্তব্য হিসাবে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশ বিষয়ক প্রেজেন্টেশন করেন বিডার শাহ মাহবুব, এবং বেজার মুস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনাকারী জাপানি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সুমিতমো স্পেশাল ইকোনমিক জোন (সেজ) সংক্রান্ত, এবং হোন্ডা ও মন্সটারল্যাব থেকে বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনায় তাঁদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন যথাক্রমে চিহারু তাগাওয়া, হিমিহিকো কাতসুকি এবং মাজুকি নাকায়ামা। এছাড়া বাংলাদেশে জাপানি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গতিধারা ও কার্যক্রম সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেন জেট্রোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ইউজি আন্দো। আলোচকগণ বাংলাদেশকে সম্ভাবনাময় ও বিনিয়োগের সোনালী গন্তব্য হিসাবে আখ্যায়িত করেন।
অনুষ্ঠানে সমাপনি বক্তব্য প্রদান করেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান জনাব সিরাজুল ইসলাম, বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান জনাব পবন চৌধুরী এবং জাইকা বাংলাদেশের প্রধান প্রতিনিধি জনাব ইউহো হায়াকাওয়া। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর ড. আরিফুল হক।