শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক যৌথ সভা শেষে তিনি একথা জানান। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এ যৌথ সভা। এতে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সভাপতিত্ব করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী ডিসেম্বরেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে অনুযায়ী আওয়ামী লীগ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সম্প্রতি গণতন্ত্রের দাবিতে বিএনপির ‘পদযাত্রা’ কর্মসূচির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রকে ঘরে জিম্মি করে রেখেছে। যারা ঘরে গণতন্ত্রকে জিম্মি করে রাখে, তারা দেশে কীভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে? ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা দেশের গণতন্ত্রের জন্য এত উতলা, তাদের ঘরে কেন গণতন্ত্র নেই। এটার জবাব আমরা পাই না। আমরা জবাব পাই না – তাদের দলের গঠনতন্ত্র থেকে সাত ধারা কেন বাদ দিয়েছে। ওই ধারায় ছিল: কোনো ব্যক্তি দুর্নীতিগ্রস্ত প্রমাণিত হলে তিনি বিএনপির নেতা হতে পারবেন না।’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকার হটানোর জন্য ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে বিএনপি। এমন অবস্থায় রাজনীতি থেকে বিরত থাকার উপায় নেই। বিএনপির কর্মসূচি দেখে আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচি পালন করছে–বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা নির্বাচনের বছর। আমরা আগেই বলেছি, বছরব্যাপী আমরা রাজনীতির মাঠে থাকব। আমরা সে কর্মসূচিই পালন করছি। এখানে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কিছু নেই। তারা ঢাকায় সমাবেশ করেছে, আমরা সাভারে করেছি। তাহলে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি হলো কীভাবে?’ তিনি বলেন, ‘আমরা বিএনপির সঙ্গে শুরু থেকেই কম্পিটিশন চেয়েছি কনফ্রন্টেশন চাইনি। তাই আমি বলছি, নির্বাচন ছাড়া কোনোভাবেই সরকার পরিবর্তন করা যাবে না। বিএনপির সঙ্গে আমরা সংঘাত চাই না, প্রতিযোগিতা চাই। আগামী নির্বাচনে তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে চায় আওয়ামী লীগ।’ এ সময় তিনি আগামী ১১ মার্চ ময়মনসিংহ ও ১৮ মার্চ বরিশালে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দেন। পাশাপাশি প্রতি ইউনিয়নেও দলীয় সমাবেশের ঘোষণা দেন ওবায়দুল কাদের।