মোশাররফ হোসেন: মোল্লা ওমরের শাসন দেখেছে বিশ্ববাসি। পশ্চাদপদ আদর্শ ও কালাকানুনে তারা বিশ্বাসি। নারীদের স্বাধীনতা ও আধুনিক শিক্ষার সুযোগ তারা দেয়নি ।
ধমীয় বিধি বিধান ও শরীয়া আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে তারা বদ্ধপরিকর। ধমীয় উদারতা তাদের কাছে গৌণ। দেশের মধ্যে আধুনিক বিজ্ঞানের শিক্ষা যদি না থাকে তাহলে বর্তমান বিশ্বে এগিয়ে যাবার সুযোগ থাকে না। যুগে যুগে তাই ধর্ম প্রচারক, আদর্শবান মানুষ সংস্কারের মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রের পরিবর্তন এনেছেন। ধর্ম, অনুশাসন, আইন তো মানুষের কল্যাণের জন্য। জাতিসংঘের মাধ্যমে তাই রাষ্ট্র পরিচালনার আদর্শ নীতিমালা প্রণয়ন এখন সময়ের দাবি।
আফগানিস্তান ভৌগলিক কারণে এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ জাযগায অবস্থান করছে। তাই যুগে যুগে বিশ্ব পরাশক্তি তাদের দেশে অন্তর্ঘাত বন্ধ করে শাস্তি ফেরানোর কথা বলে বছরের পর বছর ধরে বসবাস করেছে। উপজাতীয় বিভক্তি ও ধমীয় অনুশাসনের বিভিন্ন মতবাদ আফগানিস্তান বিভক্ত। জনগণের নির্বাচিত সরকার এখানে সুদূর পরাহত বিষয় মনে করছেন রাষ্ট্র বিষয়ক বিশষগগোরা।
এ মূহুর্তে আফগানিস্তান তালেবান মুজাহিদিনের দখলে রযেছে। তালেবান কেন ? পাকিস্তানের ভূখণ্ডে তাদেরকে সামরিক শিক্ষা দিয়েছে বিশ্ব পরাশক্তি। অসরোপাতি দিয়ে সহযোগিতা করেছে। আল কায়েদা এভাবে তৈরি। উপনিবেশের আধুনিক সংস্করণ।
তালেবান মুজাহিদিনের ওপর রাষ্ট্র পরিচালনায় সে দেশের জনগণের আস্থা কতটুকু আছে? যাচাইয়ের জন্য সরাসরি নির্বাচন দরকার । তার আগে সকলকে নিয়ে অনতরবতী সরকার গঠনের জন্য জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস এর প্রস্তাব আইন সম্মত।
কিন্তু ঘর পোড়া গরু সিদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়। ইতিপূর্বে তালেবান মুজাহিদিনের শাসন দেখা আফগানিস্তানের জনগণের মধ্যে আতংক কাজ করছে। তাইতো সাধীনভাবে গেল ২০বছর চলা নাগরিকদের হাজার হাজার মানুষ দেশ ত্যাগের চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এ মাত্রা বেশি।
আজ কাতারের দোহাতে তালেবান মুজাহিদিন মজলিস বৈঠক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বৈঠক ও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে র অপেক্ষা করছে বিশ্ববাসী। জরুরি সংকট নিরসনে কোন সমাধান আসবে কী না? জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ।
আফগানিস্তানে তালেবান মুজাহিদিনের নতুন উত্থানে বাংলাদেশের গোড়া ধমীয কিছু মানুষ আনন্দিত । কিন্তু ৯৯ভাগ মানুষ উদারনীতিতে বিশ্বাস করে । বাংলাদেশ ধর্মনিরপক্ষ দেশ। তবে নিরাপত্তা জনিত বিষয়ে সরকারের পাশাপাশি নাগরিকদেরও সতর্ক থাকতে হবে ।
সবাইকে নিয়ে তালেবান সরকার!
২০বছর পর কাতার থেকে তালেবান নেতা জাবিউললাহ আখুনজাদা, মোল্লা বেরাদার সহ অন্যান্যরা কাবুল ফিরেছেন । মিডিয়াকে তারা বলেছেন, তাদের সরকারে নারীরা থাকবেন । এখন থেকে নারীরা আফগানিস্তানে কাজ করতে পারবেন। সব রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত হবে সরকার।