পুরনো একটি বাড়িকে নিজের অফিসের জন্য বেছে নিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের এক আইনজীবী। ব্যাপক মেরামতির প্রয়োজন ছিল বাড়িটির। ওই আইনজীবী জানতেন, মেরামতের জন্য তাকে বেশকিছু অর্থ খরচ করতে হবে। কিন্তু বাস্তবে যা হলো তা ঠিক উল্টোই। বাড়িটি ঠিক করতে গিয়ে তিনি এক লাখ ডলারের (প্রায় ৮৪ লাখ ৭৪ হাজার) মালিক বনে গেলেন।
জানা যায়, ওই আইনজীবীর নাম ডেভিড জে হুইটকম্ব। মেরামতের সময় বাড়িতে একটি গোপন কক্ষে কিছু পুরাতন সামগ্রী উদ্ধার করেন তিনি। পরে নিমালে বিক্রি করে এতো টাকা আয় করেন।
পুরনো সেই বাড়ির মালিক ছিলেন মার্কিন চিত্রকর জেমস ইলারি হ্যালে। ১৮৯২ থেকে ১৯২০ সাল পর্যন্ত তিনি এই বাড়িটিতে ছিলেন। তার মৃত্যুর পর একাধিক বার বিক্রি হয়েছে এই বাড়ি। সবশেষ বাড়িটি কিনেন হুইটকম্ব। কিন্তু তার আগে কেউই বাড়িটিতে মজুত গুপ্তধনের খোঁজ পাননি। কেনার পর মেরামতি করতে গিয়ে সিলিংয়ে একটি গুপ্ত দরজা পান হুইটকম্ব। দরজার ভেতরে উঁকি দিয়ে মজুত থাকা একাধিক ছবি দেখতে পান তিনি।
পরে এক বন্ধুকে নিয়ে ওই কক্ষে প্রবেশ করেন হুইটকম্ব। সেখানে বহু পুরনো দুর্মূল্য ছবির সমাহার দেখে অবাক হন তিনি। সেগুলো আসলে চিত্রকর হ্যালের ছবিঘর ছিল। দুর্মূল্য ছবিগুলো এই কক্ষেই সংগ্রহ করে রাখতেন হ্যালে। তবে ছবিগুলোর মূল্য কতো হতে পারে তা নিয়ে কোনো ধারণাই ছিল না এই আইনজীবীর।
এরপর জেনেভা ঐতিহাসিক সোসাইটির সভাপতি ড্যান উইনস্টকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন হুইটকম্ব। তার কাছেই মূলত ছবিগুলো সম্বন্ধে এবং চিত্রকর হ্যালের সম্পর্কে বিশদে জানতে পারেন। পরে ঘর থেকে তিনি প্রচুর ছবি, ছবি তোলার সরঞ্জাম পান। সবগুলো ছবি ছিল ১৯ এবং ২০ শতকের।
ছবিগুলো যে দুর্মূল্য তা জানার পর উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন হুইটকম্ব। নিউইয়র্কের এক নিলাম সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। কিছু ছবি নিজের সংগ্রহে রেখে বাকিটা নিলাম করে দেন তিনি। সব মিলিয়ে এক লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছে ছবিগুলো।