পৃথিবীর ভূস্বর্গ খ্যাত কাশ্মিরের টিউলিপ ফুল বাগান পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয়। শ্রীনগরের সিরাজবাগে অবস্থিত এই বাগানে প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার পর্যটক ভ্রমণ করতে আসেন। সেই উপলক্ষে চলতি বছর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন বাগান মালিক, শ্রমিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এশিয়ার বৃহত্তম কাশ্মীরের টিউলিপ গার্ডেনে এ মাসের শেষ নাগাদ কমপক্ষে ১৫ লাখ টিউলিপ ফুল ফুটবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ফুলগুলো সর্ব্বোচ চার সপ্তাহ তাজা থাকে। কিন্তু এর পেছনে বছরব্যাপী পরিশ্রম করে থাকেন বাগান মালিক, শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্টরা। মার্চ-এপ্রিলে কয়েক সপ্তাহের জন্য দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে টিউলিপ বাগানের ইনচার্জ এবং সহকারী ফ্লোরিকালচার অফিসার সোফি ইনাম উর রহমান বলেন, টিউলিপ ফুল সর্বাধিক এক মাস স্থায়ী হয়। কিন্তু এই প্রক্রিয়া বছরব্যাপী অব্যাহত থাকে। বাগানটি আমাদের কর্মচারী ও শ্রমিকদের ঘাম ও রক্তের ফসল।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর অতিরিক্ত ২ লাখ কলব লাগানো হয়েছে। গত বছর এ সংখ্যাটা ছিল ১৩ লাখ। কিন্তু মহামারি কোভিড-১৯ এর কারণে জারি করা লকডাউনের ফলে তা কোনো পর্যটকের নজরে পড়েনি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ নাগাদ ফুলগুলো ফুটবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ফ্লোরিকালচার বিভাগের ইনচার্জ উপপরিচালক শায়খ রসুল বলেন, আবহাওয়ার ওপর ভিত্তি করেই বাগান খুলবে। মার্চ মাসের তাপমাত্রা ফেব্রুয়ারি থেকে বেড়েছে। সবকিছু মিলিয়ে ২০ মার্চের আগে বাগান খোলার সম্ভাবনা নেই।
এপ্রিলের শেষ নাগাদ ফুলগুলো ঝড়ে পড়তে শুরু করবে জানিয়ে বাগানের কর্মচারী আবদেল রহমান বলেন, ফুল ফোটার সময় আমাদের কাজ দ্বিগুণ হয়ে যায়। কারণ, ফুলের যত্ন নিতে হয় এবং একইসঙ্গে দর্শনার্থীদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হয়।
সোফি ইনাম উর রহমান বলেন, প্রতিবছর তারা ফুলের কলব হল্যান্ড থেকে আমদানি করেন। এ বছর মোট ৪.৬ লাখ কলব আমদানি করা হয়েছে। প্রতিটির পেছনে দাম পড়ে ১২ থেকে ২৪ ইউরো।