মোঃ আনিসুর রহমানঃ ডায়াবেটিস আক্রান্তদের ডায়েট মেনে চলতে হবে। যখনতখন ভাত-রুটি খেলে চলবে না। এতে শরীরে এসে ভর করতে পারে হৃদরোগ, পায়ের সমস্যা, কিডনি সমস্যাসহ আরো অনকে রোগ।
জীবনকে সর্বাঙ্গসুন্দর করতে নিরোগ সুস্থ শরীর খুব প্রয়োজন। কিন্তু রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে আসে বাধা। তার উপর ডায়াবেটিস থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখাটা খুবই মুশকিল হয়ে পড়ে।
অনেক ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়াদাওয়ার পরে, বিশেষ করে ভাত-রুটি খাওয়ার পর, রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে ‘আফটার মিল হাইপারগ্লাইসেমিয়া’। এক্ষেত্রে খাওয়াদাওয়ার বিষয়ে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হবে। তাহলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
সকাল থেকে সারাদিন কী খাবার খাচ্ছেন সেটা খেয়াল রাখা জরুরি। যেমন মিষ্টি, পাউরুটি, আটার রুটি, ভাত এই জাতীয় খাবার খুব কম খেতে হবে। না হলে খাওয়াদাওয়ার পর রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাবে। সকাল থেকে প্রতি বেলায় কী খাবার খাবেন তার একটি পরিকল্পনা করে নেবেন। তাহলে কখন কোন খাবার খাবেন, তা নির্ধারণ করতে সুবিধা হবে। মানে ডায়েটটা সঠিক ভাবে করতে সুবিধে হবে। এছাড়া যা খাচ্ছেন, সেগুলো ডায়াবেটিসের পক্ষে আদৌ উপকারি কি না, সেটাও ভেবে দেখার অবকাশ পাবেন।
একেবার নয়, বারে বারে খান
একবারে অনেকটা খাবার খাওয়ার প্রবণতা যদি আপনার মধ্যে থাকে, তাহলে আজই তা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন। অনেকটুকু একবারে না খেয়ে, অল্প অল্প করে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। কারণ গবেষণা বলছে দিনে তিন বেলা ভারী খাবার খাওয়ার চেয়ে যদি বারে বারে অল্প করে খাবার খাওয়া যায়, তা হলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত খাবার খাবেন
ডায়াবেটিস থাকলে কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত খাবার খাওয়া দরকার। তাই খাবার আগে দেখে নিন কোন ধরনের খাবারে জিআই বা গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ ৫৫ শতাংশের কম। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ খেয়াল করুন
কার্বোহাইড্রেট বেশি মাত্রায় খাওয়া ডায়াবেটিসের রোগীদের একেবারেই উচিত নয়। মানে ভাত-রুটি। তাই যখন খাচ্ছেন তা ‘লো-কার্ব’ বা স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট খাবার চেষ্টা করুন। এছাড়া প্রতিদিন কতখানি কার্বোহাইড্রেট খাচ্ছেন, সেই বিষয়েও একটু সতর্ক থাকার চেষ্টা করতে হবে। অতিরিক্ত প্রসেস করা কার্বোহাইড্রেট কখনই খাবেন না।