ফখরুল বলেন, “আজকে আমার কাছে যা মনে হয়, বড় একটা সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এই যে গৃহঅন্তরীণ হয়ে থাকা। সে গণতন্ত্রের নেত্রী, দীর্ঘকাল তিনি গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাকে বের করে আনাটা সবচেয়ে বড় প্রয়োজন। এটা এক নাম্বার কাজ।”
দণ্ড নিয়ে বিদেশে থাকা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আসা বিএনপির ‘দুই নম্বর জরুরি কাজ’ বলে জানান দলটির মহাসচিব।
“দুই নাম্বার হচ্ছে, আমাদের যে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যিনি বিদেশে আছেন, তার বাংলাদেশে ফিরে আসা গণতন্ত্রের জন্যে বেশি প্রয়োজন। এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা সেগুলোকে দূর করা।”
বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ অ্যান্ড কমিউনিকেশনের (বিএনআরসি) উদ্যোগে ‘আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ফখরুল।
দেশে গণতন্ত্র ‘ফিরিয়ে আনার জন্য’ জাতীয় ঐক্য গড়ে গণআন্দোলন সৃষ্টি করা গেলে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটানো যাবে বলে মনে করেন ফখরুল।
সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “আজকে সারা পৃথিবীতে গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি ধবংস করে দিয়ে একটি গোষ্ঠির স্বার্থ চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এটা আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়।
“আজকে বাংলাদেশে মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘন, ভোটের অধিকার হরণ, সংবাদপত্র-মত-ব্যক্তির স্বাধীনতা সব কিছু হরণ করা হয়েছে। আজকে বাংলাদেশে জনগণ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে না। এদেশে এখন আওয়ামী লীগ ও তার সুবিধাভোগী শ্রেণির দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এই সরকারের গণতন্ত্রের সব কিছুকে হরণ করেছে।”
এই অবস্থা থেকে উত্তরণে জনগণ ও সব গণতান্ত্রিক দলের ‘ইস্পাত কঠিন ঐক্য’ প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।