নরেন্দ্র মোদির আগমনকে ঘিরে হেফাজতের ডাকা হরতালের প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও। গত দুইদিনে হেফাজত ইসলামের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুরো শহরসহ আশেপাশের এলাকা অচল হয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারী একে একে শহরে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থানগুলোতে ব্যাপক ভাংচুরসহ অগ্নিসংযোগ করেছে।
ঐতিহাসিক স্থানগুলোর একটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরকারি গণগ্রন্থাগার ও সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গন। যেখানে আগুন দিয়েছে হরতাল সমর্থকরা। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে হেফাজতে ইসলামের দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলাকালে এখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এছাড়া পৌনে ১২টার দিকে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ ভাষা চত্বরে জেলা প্রশাসন আয়োজিত উন্নয়ন মেলার প্যান্ডেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারিরা। একই সময়ে ভাংচুর চালায় জেলার ঐতিহাসিক সাহিত্য একাডেমিতে। একইসাথে তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা ভবনে, সুরসম্রাট আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তনে আগুন ধরিয়ে দেয়।
শনিবার (২৭ মার্চ) জেলার আরও কয়েকটি ঐতিহাসিক স্থানে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায় হেফাজত ইসলামের নেতা কর্মীরা। সেগুলো হলো বঙ্গবন্ধু স্কয়ার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া অবকাশে উপস্থিত স্মৃতিশোধও সহ আরো কয়েকটি জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত করে।
এছাড়াও ভাংচুর করা হয়েছে, আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজায় থাকা পুলিশ ফাঁড়িতে আক্রমণ করে হরতাল–সমর্থনকারীরা। এ সময় পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। টোল আদায়ের বুথ ভাঙচুর করা হয়। সরাইলের বিশ্বরোড এলাকায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোদিবিরোধী বিক্ষোভে শনিবার বিকেল থেকে রাতে দফায় দফায় সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হওয়ার এর পর থেকে জেলায় উত্তেজনা আরও বাড়তে থেকে। পরে আজ হেফাজতের সকাল-সন্ধ্যা হরতাল সমর্থকরা নতুন করে এসব জায়গায় হামলা চালায়।