বাংলাদেশে (Bangladesh) সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর ইসলামিক আগ্রাসন অব্যাহত। অষ্টমীর দিন কুমিল্লা, সাহেবগঞ্জ সহ একাধিক পূজা মন্ডপে ভাঙচুর চালিয়েছে উন্মত্ত জনতার দল। শুধু তাই নয়, শতাধিক হিন্দু পরিবারের বাড়ি তছনছ করা হয়েছে, আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের ঘটনার রেশ এসে পৌঁছেছে ভারতবর্ষের বুকেও। পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী বাঙালি জাতীয়তাবাদী হিন্দুরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছেন। কলকাতার অন্যতম নামী পূজো উদ্যোক্তা সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারেও এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে। বাংলাদেশের চট্টগ্রামে দলবদ্ধভাবে হিন্দুরা প্রতিবাদ শুরু করেছেন।
মূর্তি ভাঙচুর ও মন্ডপ ভাঙার ঠিক একদিন পর নৃশংসভাবে একটি হিন্দু ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। শুধুমাত্র তাই নয়, ইস্কনেও হামলা চালানো হয়েছে। এই নৃশংসতা নোয়াখালী গণহত্যার স্মৃতি উস্কে দিয়েছে।#SaveBangladeshiHindus হ্যাশট্যাগে ছেয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া।
নেটিজেনদের একাংশ মন্তব্য করেছেন, অশ্রুসংবরন করা সম্ভব হলোনা কোনোভাবেই। ভাঙা মন্ডপেও পুজা হয়, প্রতিমা ছাড়াও পুজা হয়… ঈশ্বর নিরাকার, শক্তি নিরাকার। কার অপমান হলো আর আমরা কাকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করি পুজার মাধ্যমে বুঝে নিন, জয় মা দুর্গা। অনেকেই আবার মনে করেছেন, হিন্দুদের এভাবে দমিয়ে রাখা যাবে না, আদ্যাশক্তি মহামায়া সর্বত্র বিরাজমান। দেবীর ঘটে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করলেও দেবী তুষ্ট হন।