নিজস্ব সংবাদদাতা ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা বিল ২০২২’ পরীক্ষা করে জাতীয় সংসদে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির সভাপতি আবুল হাসান মাহমুদ আলী বিলটি পাসের সুপারিশ করে প্রতিবেদন সংসদে উপস্থাপন করেন। সরকারি চাকরিজীবীদের বাইরে দেশের সব নাগরিককে পেনশন– ব্যবস্থার আওতায় আনতে এই আইনি কাঠামো তৈরি করছে সরকার। গত ২৯ আগস্ট ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা বিল ২০২২’ জাতীয় সংসদে তোলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বর্তমানে সরকারি কর্মচারীরা অবসরের পর পেনশন সুবিধা পান। সবার জন্য পেনশন চালু করার বিষয়টি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল।
জাতীয় পরিচয়পত্রকে ভিত্তি ধরে, সর্বজনীন পেনশনের আওতায় ১৮ বছর বা তার বেশি বয়স থেকে ৫০ বছর বয়সী সব বাংলাদেশি নাগরিক অংশ নিতে পারবেন বলে বিলে বলা আছে। আরও বলা আছে, বিশেষ বিবেচনায় পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিদেরও এর আওতায় রাখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে মাসিক পেনশন সুবিধা পেতে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর, চাঁদাদাতাকে ধারাবাহিকভাবে কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দিতে হবে। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীরাও এতে অংশ নিতে পারবেন। চাঁদার হার কত হবে, তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। আইন হওয়ার পর, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এটি নির্ধারণ করবে।
খসড়া আইনে বলা হয়েছে, চাঁদাদাতা ধারাবাহিকভাবে কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দিলে মাসিক পেনশন পাবেন। চাঁদাদাতার বয়স ৬০ বছর পূর্তিতে পেনশন তহবিলে পুঞ্জীভূত মুনাফাসহ জমার বিপরীতে পেনশন দেয়া হবে। একজন পেনশনার আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন।
এদিকে জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ‘গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) বিল-২০২২’ পরীক্ষা করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার মেয়াদ আরও ৯০ দিন বাড়ানো হয়েছে। আজ সংসদে নির্ধারিত সময়ে বিলটির প্রতিবেদন দিতে না পারায়, সংসদীয় কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু সময় চাইলে- তা ভোটে দেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। পরে প্রস্তাবটিতে সংসদ অনুমোদন দেয়।