1. doorbin24bd@gmail.com : admin2020 :
  2. reduanulhoque11@gmail.com : Reduanul Hoque : Reduanul Hoque
January 17, 2025, 7:18 am

সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা গচ্চা বিমানের, কর্মকর্তাদের তলব

  • প্রকাশিত : বুধবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১
  • 359 বার পঠিত

পাঁচ বছরের চুক্তিতে মিশরের ইজিপ্ট এয়ার থেকে লিজ নেওয়া দুটি এয়ারক্রাফটে সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে। লিজ নেওয়ার পর থেকে ইঞ্জিন বিকল হওয়া, আবার ভাড়ায় আনা, সেগুলোর মেরামত এবং উড়োজাহাজের ভাড়াসহ আনুষাঙ্গিক কাজে বিপুল অঙ্কের এ টাকা খরচ করা হয়।

এ ঘটনায় বিমানের তৎকালীণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোসাদ্দেককে চাকরিচ্যুত এবং সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তাদের বদলি করা হলেও লিজ নেওয়ার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি হয়নি। তাদেরকে তলব করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

আজ বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শেষে লিজ গ্রহণের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের কমিটির আগামী বৈঠকে হাজির হয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।

কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, তানভীর ইমাম, আশেক উল্লাহ রফিক, আনোয়ার হোসেন খান, শেখ তন্ময়, সৈয়দা রুবিনা আক্তার ও কানিজ ফাতেমা আহমেদ এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কমিটি সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের মার্চ মাসে ইজিপ্ট এয়ারের সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি হয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের। সেই চুক্তি মোতাবেক ইজিপ্ট এয়ার থেকে দু’টি বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর লিজ নেয় বিমান। প্রথম বোয়িং বিমানের বহরে যুক্ত হয় ওই বছরের মার্চেই। অপর বোয়িং বিমানের বহরে যুক্ত একই বছরের মে মাসে। বোয়িং দুটি বিমানের বহরে যুক্ত হওয়ার ১১ মাস পরই ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ফ্লাইট পরিচালনার পর একটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। উড়োজাহাজটি সচল করতে ইজিপ্ট এয়ার থেকেই ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। তখন সুবিধাভোগীদের স্বার্থ হাসিল করতে চড়া দামে ইঞ্জিন ভাড়া করার অনুমোদন দেয় তৎকালীন বিমানের পরিচালনা পর্ষদ। দেড় বছরের মাথায় নষ্ট হয়ে যায় অবশিষ্ট বোয়িংয়ের ইঞ্জিনটিও। উড়োজাহাজটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে আবারও ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। এরপর থেকে নানা অজুহাতে গ্রাউন্ডেড থাকে উড়োজাহাজ দুটি। নষ্ট হয়ে যায় ভাড়ায় আনা ইঞ্জিনও। পরে ইঞ্জিন মেরামত করতে যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। ফলে এয়ারক্রাফ দুটি ফেরত দেওয়া হয়।

বিমানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ দুই উড়োজাহাজ লিজ আনা, মেরামতে চরম অবহেলা ও অনিয়মের কারনেই বিমানকে এতো টাকা গচ্চা দিতে হয়। উড়োজাহাজ লিজ নেওয়ার পর থেকে ইঞ্জিন বিকল হওয়া, আবার ভাড়ায় আনা, সেগুলোর মেরামত এবং উড়োজাহাজের ভাড়াসহ আনুষাঙ্গিক কাজে এ সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা খরচ হয়। যা দিয়ে একটি নতুন উড়োজাহাজ কেনা সম্ভব।

সূত্র আরো জানায়, ইজিপ্ট এয়ার থেকে লিজে আনা এয়ারক্রাফট দুটি ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়াতেও বড় ধরনের অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ অভিযোগে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (প্রকৌশল) খন্দকার সাজ্জাদুর রহিমের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল হয়। একই অভিযোগে বরখাস্ত হন প্রধান প্রকৌশলী (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস) জি এম ইকবাল।

এ সকল বিষয়ে আগামী বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া ‘বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড (নিবন্ধন ও পরিচালনা) বিল-২০২১’ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সংশোধন সাপেক্ষে কমিটি আগামী বৈঠকে পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন :
এ জাতীয় আরও খবর

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০৩১
© All rights reserved © 2024 doorbin24.Com
Theme Customized By Shakil IT Park