বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে রক্ত ঝরানোর দায় সরকারকে নিতে হবে। গত কয়েকদিনে সরকারের পেটুয়া বাহিনী দিয়ে জনগণের ওপরে হামলা ও নির্যাতন চালানো হয়েছে। এভাবে সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারে না।
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাধীনতা দিবসে ‘মানুষ হত্যা’ ও ‘পুলিশি হামলার’ অভিযোগে এ সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি।
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সরকারের পতন ঘটাতে হবে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠিত করেছে। আমরা গত কয়েকদিন ধরে লক্ষ করেছি, এই সরকার তার পেটুয়াবাহিনীসহ নিরীহ মানুষদের ওপর অত্যাচার করেছে, হত্যা করেছে, গ্রেফতার করেছে। আমাদের দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায়সহ ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবকদলের অনেক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে। আমরা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, এভাবে কখনো একটি দেশ চলতে পারে না।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আজকে আমাদের এই সরকার ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক করেছে, অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। ভালো কথা। আমরাও চাই প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক সুন্দর হোক, সুষ্ঠু হোক। কিন্তু এই সরকার খুব পরিকল্পিতভাবে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার পর থেকে তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। বাংলাদেশের মানুষের যে আশা-ভরসা, তা শেষ করে দিয়েছে।’
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, জলবায়ু বিষয়ক সহ-সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও দক্ষিণ সিটির সাবেক মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন।