বাংলাদেশকে আরও ৬ লাখ ডোজ করোনার ভ্যাকসিন উপহার হিসেবে দিচ্ছে চীন। এই টিকা বাংলাদেশকে দেওয়া চীনের দ্বিতীয় টিকা উপহার। শুক্রবার (২১ মে) ঢাকার চীনা দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের কাছে টিকার জন্য কূটনৈতিক পত্র দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ টেলিফোনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনকে বাংলাদেশেকে ছয় লাখ টিকা উপহার দেওয়ার কথা জানান ওয়াং ই।
চীনের দূতাবাস থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশের করোনা মহামারির সর্বশেষ পরিস্থিতির দিকে চীন গভীর নজর রাখছে। মহামারির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের লড়াইয়ের গুরুত্বপূর্ণ এ সময়ে টিকা জরুরি প্রয়োজন সম্পর্কে উদ্বিগ্ন চীন।
দূতাবাস জানায়, বাংলাদেশে উপহারের প্রথম চালানের ৫ লাখ টিকা আসার ৯ দিনের মাথায় আরও ৬ লাখ টিকা উপহারের ঘোষণা দিলো চীন। যা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীরতা নির্ণয়ে সহায়তা করে। এতে প্রমাণিত হয় চীন বাংলাদেশের সঙ্গে তার বন্ধুত্বের সম্পর্কে কতটা গুরুত্ব দেয়। চীন বিশ্বাস করে, চীনের দ্বিতীয় ধাপে দেওয়া উপহারের টিকা অবশ্যই বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাড়তি শক্তি যোগাবে।
ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে মহামারির বিরুদ্ধে চীন লড়াই চালিয়ে যাবে। বাংলাদেশের সঙ্গে মহামারি বিরোধী সহযোগিতা আরও জোরদার করবে। দুই দেশের জনগণের স্বাস্থ্য ও জীবন কার্যকরভাবে নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনীয় সহায়তা করবে চীন।
এর আগে চীনের উপহার ‘সিনোভ্যাক’ এর ৫ লাখ ডোজ টিকা সরকারের নিকট হস্তান্তর করেছ চীন। বুধবার (১২ মে) ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নিকট এ উপহার তুলে দেন।