মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন খুলনাকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ তিনে উঠে গেল সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন বরিশাল।
৬ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে বরিশাল। মাত্র ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে কুমিল্লা। ৬ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় পজিশনে আছে চট্টগ্রাম।
পয়েন্ট টেবিলে বরিশালের উন্নতীতে অধপতন হলো ঢাকার। তিন নম্বর পজিশন থেকে চারে নেমে গেল ৫ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট অর্জন করা তামিম-মাশরাফি-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের ঢাকা।
সোমবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে খুলনার বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপর্যয়ে পড়ে যায় বরিশাল। শুরুতে ২৪ রানে টপ অর্ডারের ৩ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারায় দলটি।
একটা পর্যায়ে ৩ উইকেটে বরিশালের সংগ্রহ ছিল ১৩.৫ ওভারে ১০৩ রান। এরপর ৪২ রানের ব্যবধানে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮.৫ ওভারে ১৪৫ রানেই অলআউট হয় সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন দলটি।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৩৫ রানে সৌম্য সরকার, রনি তালুকদার, আন্দ্রে ফ্লেচার ও থিসেরা পেরেরার উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে খুলনা। পঞ্চম উইকেটে ইয়াসির আলী রাব্বিকে সঙ্গে নিয়ে ৫০ বলে ৭৯ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
১৮.২ ওভারে দলীয় ১১৪ রানে মুশিক যখন ৩৩ রান করে ফেরেন তখন জয়ের জন্য খুলনার প্রয়োজন ছিল ১০ বলে ৩২ রান। ইয়াসির আলী রাব্বির পক্ষে লেজের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে এ অসম্ভব টার্গেট তাড়া করে দলকে তীরে ভেড়ানো সম্ভব হয়নি। তার ৩৪ বলের চার বাউন্ডারি আর তিন ছক্কায় গড়া অপরাজিত ৫৭ রানের ইনিংসে ভর করে শেষ পর্যন্ত ১৩৯/৬ রান তুলতে সক্ষম হয় খুলনা। ৬ রানে জয় পায় বরিশাল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বরিশাল: ১৮.৫ ওভারে ১৫৪/১০ রান (নাজমুল হোসেন শান্ত ৪৫, সাকিব আল হাসান ৪১; খালেদ আহমেদ ৩/৪১, কামরুল ইসলাম রাব্বি ২/২৫, ফরহাদ রেজা ২/১৪)।
খুলনা: ২০ ওভারে ১৩৯/৬ রান (ইয়াসির আলী ৫৭*, মুশফিকুর রহিম ৩৩; ডুয়াই ব্রাভো ৩/৪০, সাকিব আল হাসান ২/১০)।